শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:২৬ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রমিক সংকটে হাওড়ে ফসলের ক্ষতি বাড়ছে

মতিনুজ্জামান মিটু : কৃষি শ্রমিক সংকটে দেশের প্রধান জলীয় এলাকা হিসেবে স্বীকৃত হাওড়ে ফসলের ক্ষতি বাড়ছে। পাশাপাশি হঠাত বন্যার কারণেও ঝুঁকির মুখে রয়েছে এখানকার ফসল উৎপাদন ও আহরণ কার্যক্রম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষকের নিজের চেষ্টার সঙ্গে রয়েছে সরকারের নানা উদ্যোগ। সরকারের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম।

এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দীনের পক্ষে মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মো. বদরুজ্জামান মুসলিমি জানান, ক্রমবর্ধমান কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি এবং আকস্মিক বন্যায় হাওড় এলাকায় ফসল উৎপাদন ও শস্য আহরণ যথেষ্ট ঝুঁকির সম্মুখীন। প্রতি বছর পাহাড়ি ঢল ও শিলাবৃষ্টিতে হাওড়ে বোরো ফসলের ক্ষতির বেশির ভাগই হয় শ্রমিক সংকটের কারণে। শ্রমিক না আসায় ক্ষতির পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৭টি জেলার ৫৭টি উপজেলার ২৭৪টি ইউনিয়নে ৩৭৩টি হাওড় রয়েছে। এর আয়াতন প্রায় ৮৬ হাজার হেক্টর। বোরো ফসল হাওড় অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র অবলম্বন। হাওড়ে বোরো চাষ ছাড়া আর কোনো ফসল উঠার সুযোগ নেই।

গত বছর আকস্মিক বন্যায় বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। বছরে একটি ফসল হওয়ায় তা মার গেলে পরবর্তী ফসলের জন্য একটি বছর অপেক্ষা করতে হয়। হাওড় পাড়ের মানুষ তবুও নিরাশ না হয়ে প্রতি বছর বোরো ধান চাষ করে থাকেন। তাদের আশা পুরো ফসল কেটে ঘরে তোলা। কৃষকের নিজের ফসল সংগ্রহের চেষ্টার পাশাপাশি সরকারী উদ্যাগও রয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় সাতটি হাওড় জেলার ৪১টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৪টি করে কম্বাইন হারভেস্টার ও তিনটি করে রিপার প্রদর্শনীসহ মোট ২৮৭টি প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে।

প্রদর্শনী ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় হাওড় এলাকায় ৭০ ভাগ উন্নয়ন সহায়তায় ৪০০টি মিনি কম্বাইন হারভেস্টার (এই যন্ত্রের সাহায্যে ধান ও গম কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই করে বস্তায় পোরা যায়) দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে ১১৫ হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে সরকারি প্রণোদনায় এ অঞ্চলের কৃষকদের আরও ২৭৫টি রিপার যন্ত্র (এই যন্ত্র দিয়ে হেলে পড়া ফসলসহ ধান ও গম কাটা এবং আঁটি বাঁধা যায়) দেয়া হয়েছে। যা এ অঞ্চলের কৃষকদের বোরো ফসল আহরণে সহায়ক হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়