শিরোনাম
◈ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরে ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার ◈ লু’র সফরকে কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন: রিজভী ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃত্রিম প্রজনন ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তির ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে

মতিনুজ্জামান মিটু : কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্প ( ৩য় পর্যায়) এর ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে।

এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. বেলাল হোসেন এর পক্ষে অফিস সহকারি এমডি রাশেদ জোয়র্দার জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে পয়েন্ট স্থাপনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ, বাড়তি চাহিদা মেটাতে গবাদিপশুর সিমেন উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশী জাতের গবাদিপশুর কৌলিকমান উন্নয়ন করা, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, গবাদিপশুর আশানুরুপ উৎপাদন নিশ্চিত করতে টোটাল মিক্সড রেশম (টিআরএম) প্রদর্শনী প্লান্ট স্থাপন, জনশক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র বিমোচন করা এবং সাভার দুগ্ধ খামারে গবাদিপশুর ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিজস্ব জমিতে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি দোতালা বুল ষ্টেশন কাম এআই ল্যাবরেটরি নির্মাণ কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এ কাজ ছাড়াও প্রকল্পের ১২ দফা মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে; সিলেট, বগুড়া ও বরিশালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিজস্ব জমিতে এবং খুলনা ও রংপুরে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনিল্যাব নির্মাণ, এক হাজারটি ইউনিয়ন এআই শেড নির্মাণ, সাভার ও রাজশাহীতে বুল কাম এআই (কৃত্রিম প্রজনন)ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

ব্রিডিং বুল তৈরীর জন্য ষাঁড় বাঁছুর সংগ্রহ, সাভার ডেইরি ফার্মে নিউক্লিয়াস হার্ড তৈরীর জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেক্সড সিমেন আমদানি, সুষম গো-খাদ্য উৎপাদনের জন্য সাভারে একটি টিআরএম প্রদর্শনী প্লান্ট স্থাপন, যানবাহন ( ১টি জীপ, ১৭টি পিকআপ, ৩টি ট্রাক, ২৯টি মটর সাইকেল ও ৩টি ট্রাক্টর) ক্রয়। ল্যাবের যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়, এক হাজার জন এআই টেকনিশিয়ানকে (স্বেচ্ছাসেবী) ৬মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ, ৩৮ হাজার ৯৬০ জন কৃষককে ৩দিনের প্রশিক্ষণ ও এক হাজার জন প্রশিক্ষিত এআই টেকনিশিয়ান এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের সপ্তাহব্যাপী রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ। ২৫ জন কর্মকর্তার বৈদেশিক শিক্ষা সফর। এর মধ্যে ৬ জন কর্মকর্তা বিদেশে শিক্ষা সফর করেছেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের বছরওয়ারি মোট বরাদ্দের শতকরা ২৯দশমিক৯৯ ভাগ টাকা খরচে হয়েছে। সাভার ডেইরি ফার্মে নিউক্লিয়াস হার্ড তৈরীর জন্য সেক্সড সিমেন আমদানির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অস্টেলিয়া বা কানাডা থেকে এ সিমেন আমদানি করা হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়