মুফতি আবদুল্লাহ তামিম: সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোনও সচেতন নাগরিক সৌদি আরবের নারীদের সাম্প্রতিক ক্ষমতায়নের বিষয় অস্বীকার করতে পারবে না। মানবাধিকার কমিশন নারীদের সবসময়ই সমর্থন করে বলে জানায় তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের অধিকার নারীদের প্রতি বৈষম্যহীন ব্যবস্থাপনাকেই ইঙ্গিত করে। তাই আমরা নারীদের এ অধিকার আদায়ে সরকারের পাশে আছি বলে মন্তব্য করেন সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র। তিনি আরো বলেন, ফৌজদারী আইন নারী নির্যাতন আইন ট্র্যাফিক আইন, রাজনৈতিক ও জনজীবনের বিভিন্ন আইনে আমরা নাগরিক হিসেবে নারীদের জন্য মর্যাদার জায়গা তৈরি করতে চাই। সৌদি শূর কাউন্সিলের ২০শতাংশ আসন নারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের কোন আসন নেই। আমরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে জোর দাবি জানাই।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শ্রম ব্যবস্থায় পুরুষ-নারীদের মধ্যে অধিকার ও কর্তব্য সমান করার বিধান রয়েছে। ২৮/৮/২০১০ তারিখ শ্রম ধারার (১/২৩৭০) মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত পুরুষ ও নারীকর্মীদের মধ্যে মজুরির কোনও বৈষম্য রাখা যাবে না। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সৌদি সরকার নারীদেরকে সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিচ্ছে। তাদের আইনী শিক্ষাগত ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করে নারীদের জন্য একজন মাহরাম (পুরুষ অভিভাবক) এর উপস্থিতির নিয়মও বাতিল করা হয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০ বলছে যে, দেশের সংখ্যা দেশের ৫০ শতাংশেরও বেশি অংশে উন্নীত করা হবে। দেশের শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গঠন করবে নারীদের মাধ্যমে। কাজটি তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্যই সরকার অব্যাহত রাখছে। আরব নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :