সাইদুর রহমান: অন্যায় কাজ প্রতিরোধ না করা হলে আসমানী আযাব নাযিল হওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে হাদীস শরিফে। অর্থাৎ কোন মুসলমানের সামনে অপর মুসলমান অন্যায় কাজ হতে দেখে যদি বাধা না দেয়, এবং এভাবে অন্যায় ব্যাপক হয়ে যায় তাহলে সকলেরই উপর আযাব আসবে। এজন্য সামর্থ্য মোতাবেক সকলকেই সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে।
এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, আবূ বাকর সিদীক (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হে লোকসকল! তোমরা তো অবশ্যই এই আয়াত তিলাওয়াত করে থাক `হে ঈমানদারগণ! তোমাদের নিজেদেরই কর্তব্য তোমাদেরকে সংশোধন করা। যদি তোমরা সৎপথে থাক তাহলে যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না' (সূরা মায়েদা, আয়াত নং ১০৫)।
অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি, মানুষ যদি কোন অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার দুহাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা অতি শীঘ্রই তাদের সকলকে তার ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত করবেন। (তিরমিযী, হাদীস নং ২১৬৮, ইবনু মা-জাহ (৪০০৫)।
সৎকাজের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিরোধ করার বিষয়ে অন্য এক হাদীসে এসেছে, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তা'আলা শীঘ্রই তোমাদের উপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার নিকট দুআ করলেও তিনি তোমাদের সেই দু'আ গ্রহণ করবেন না। (তিরমিযি, হাদীস নং ২১৬৯ বুখারী, মুসলিম।