অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন
একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের নিয়ম কানুন, পড়াশোনার একটু বিঘœ ঘটবে, এটিই স্বাভাবিক। তাহলে ১৭ হাজার ৬১৫টি স্কুলে নিশ্চয় পড়াশোনার বিঘœ ঘটছে। এই গুলো নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারকে ভাবা উচিত। একটি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে না চললে, এটির কুফলটি ভোগ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সব সমস্যার ভার পড়ে শিক্ষার্থীদের উপর। তাহলে তারা পড়াশোনা করবে কিভাবে? এই দিকে আবার শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় মানববন্ধন অনশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কারা চালায়? কারা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেয়? এগুলোর একটি সমাধান হওয়া উচিত। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই শিক্ষক। তাদের জিম্মি করেতো কোনো আন্দোলন করা ঠিক নয়। আগে তাদের সঠিকভাবে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর যে কোনো আন্দোলন, অনশন করতে হবে। আর যে স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, অতি তাড়াতাড়ি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হওয়ার মতো যোগ্য লোক থাকে। সেখান থেকে বাছাই করে নিয়োগ দিলেই হয়। না হলে, প্রধান শিক্ষকের কাজ কর্মগুলো সঠিকভাবে অন্যরা পরিচালনা করতে পারবে না। যার দায়িত্ব সেই সঠিকভাবে পালন করতে পারে।
পরিচতি : ভিসি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম, সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ