সপ্তাহখানে ফুসফুস সংক্রমণে ভোগার পর শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর হসপাতালে তিনি মারা যান।
হাউলির কাজের প্রতি সম্মান দেখাতে নেপাল সরকার ২০১৪ সালে হিমালয়ের একটি ছোট্ট পর্বতচূড়া তার নামে নামকরণ করে রাখে ‘পিক হাউলি’ বা ‘হাউলি শৃঙ্গ’।
হাউলির জন্ম ১৯২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয়। গ্র্যাজুয়েশন করেন ১৯৪৬ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে তিনি ফরচুন ম্যাগজিনে গবেষক হিসাবে কাজ করেন।
১৯৬০ সালে চাকরি নিয়ে নেপালে যান এলিজাবেথ হাউলি। তখন থেকেই কাঠমান্ডুতে বাস করে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টসহ হিমালয়ের অন্যান্য শৃঙ্গে পর্বতারোহণের খুঁটিনাটি নথিবদ্ধ করতে শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তার কাজের গুরুত্ব বাড়ে।
হাউলির কয়েক দশকের অধ্যবসায়ে গড়ে ওঠা নথিপত্র এখন নেপালসহ বহির্বিশ্বের অনেকের কাছেই ‘হিমালয় ডাটাবেজ’ বা ‘হিমালয় তথ্যভান্ডার’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এ তথ্যভান্ডারের কোনো সরকারি স্বীকৃতি না থাকলেও বিশ্বজুড়ে পর্বতারোহীরা এর সহায়তা নিয়ে থাকেন।
পর্বতারোহীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই হাউলি তার কাজের জন্য ছিলেন প্রশংসিত এবং শ্রদ্ধার পাত্র। পর্বতারোহণ সংক্রান্ত সংবাদদাতা হিসাবে তিনি রয়টার্স বার্তা সংস্থায়ও কাজ করেছিলেন।
তার মৃত্যুতে হিমালয়ের তথ্যভান্ডারের কাজ থেমে যাবে কিনা- তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন নেপালের পর্বতারোহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : বিডিনিউজ