কামরুল আহসান : গত নভেম্বরে ব্রিটেনের ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ গ্রুপ মুসলিম বিরোধী তিনটি ট্ইুট প্রচার করেছিল। সেই টুইট তিনটি নতুন করে টুইট( রিটুইট ) করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনই তা নিয়ে প্রচ- সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কারণ, ব্রিটেন ফার্স্ট দলটি একটি কট্টোরপন্থী ডানপন্থী দল, ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) থেকে সরে এসে তারা দলটি গঠন করে। চরমপন্থী মুসলিম দল হিসেবেই তারা পরিচিত।
ভিডিওসহ টুইট তিনটিতে একটিতে দেখা যায় একজন মুসলিম অভিবাসী ক্র্যাচ নিয়ে চলা এক প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা করছে। আরেকটিতে দেখানো মুসলিমরা একটি খ্রিস্টান মূর্তি ভাঙচুর করছে , অন্যদিতে তারা এক বালকে হত্যা করছে। ব্রিটেন ফার্স্টের নেতা ফ্রানসেন যখন এ ভিডিওগুলো টুইট করেছিলেন তখন তার ফলোয়ার ছিল মাত্র ৫২ হাজার। কিন্তু, ট্রাম্প রিটুইট করার পর মুহূর্তের মধ্যে তার ফলোয়ার বেড়ে হয় ৪ কোটি ৪০ লাখ। তিনি উৎসাহী হয়ে ট্রাম্পের টুইটে লিখেন, এই ভিডিওগুলো ট্রাম্প নতুন করে টুইট করেছেন। ঈশ্বর ট্রাম্পের মঙ্গল করুন, আমেরিকার মঙ্গল করুন।
এবার সেই টুইটে জন্য সুইটজারল্যান্ডের দাবোস সম্মেলনে এসে ব্রিটেনের আইটিভিতে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে বলেন, আপনি বলছেন তারা ভয়ঙ্কর, খুবই চরমপন্থী। আচ্ছা, আপনি বললে আমি আমার সেই টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আছি।
ট্রাম্প বলেছেন তিনি ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ দলটি সম্পর্কে না না জেনেই তাদের টুইট তিনটি নতুন করে টুইট করেছিলেন। এতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও ক্ষুব্দ হয়েছিলেন। সাক্ষাতকারে ট্রাম্প আরো বলেন, যুক্তরাজ্যকে আমি খুবই ভালোবাসি। আমি চাই দেশটিতে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি না হোক। আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও অনেকে ভাবে আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। বিবিসি, সিএনএন
আপনার মতামত লিখুন :