মাঈন উদ্দিন আরিফ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে জনগণ হতাশ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে যে অবস্থানের কথা বলেছেন তাতে তিনি দেশবাসীকে আরেক দফা সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
সরকারের চার বছর পূর্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই ভাষণের পর রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান মির্জা ফখরুল। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণকে চরম হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশন ইতিমধ্যে ২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময় নানা নেতিবাচক ঘটনা তুলে ধরেন। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে দলদুটির আগুন সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ওই সময় নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েও আন্দোলনে ব্যর্থ হয় দলটি। পরে ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীনদের অবৈধ আখ্যা দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করেও দলটি ব্যর্থ হয়। এখনো দলটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে আন্দোলন করছে।