আহমেদ ইসমাম : ২০১৭ সালে রেভিনিউ কালেকশন ভালো হয়েছে। এক্সপোর্ট হয়েছে মোটাফমুটি, যতটা আশা করেছিল ততটা হয়নি। সবমিলে অর্থনীতি কিছুটা শক্ত অবস্থানে ছিল। শেয়ারবাজার গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় গেছে। ভালো মানের শেয়ার ছিল না, সেই তুলনায় কিছুটা খারাপ গেছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে এই সব থা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে হঠাৎ করে চালের দামটা বেড়ে যায়। চাল আমদানি করার পরও দামটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এর পেছনে সরকারের একটা গাফিলতি ছিল। এতে করে যাদের আয় নির্ধারিত, তাদের জন্য বছরটা পার করা কিছু কষ্ঠকর ছিল। ২০১৮ সালে যদি ভালো ফসল না হয়, এর রেশ আগামীতেও থাকবে। এর পেছনে বন্যার একটি বড় ভূমিকা ছিল। বন্যার ফলে আমাদের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে, কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে আছেন। এই সুযোগটা নিয়েছে সিন্ডিকেট চক্রগুলো।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একটা ভালো জিনিস (ফিনেন্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল) এফআরসি গঠন হয়েছে। যদিও সেটা কাজ শুরু করেনি।
কাজ শুরু করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অডিট স্বচ্ছ হবে। যারা তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাদের জন্যও কাজ করবে, এতে করে অর্থনীতিতে একটা গতি আসবে।তিনি বলেন, গার্মেন্টসে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমরা অনেক বেশি রপ্তানি করি কিন্তু এগুলো সব নিচুমানের বাজার। বড় কোনো বাজার শক্ত করে ধরতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্বলতা আছে, নতুন কোনো বাজার খুঁজে বের করতে পারিনি। আগের যে বাজার ছিল, সেটার মাঝেই ঘুরে ফিরে আছি। এর মধ্যেও কিছু কিছু বাজার আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের এই বছরটা ভালো যায়নি। আবহাওয়ার কারণে ভালো উৎপাদন হয়নি। যে কারণে এ বছর ফসলের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। আমাদের দেশে পোল্ট্রি ও ফিসারি খাতটা ভালো করছে। সনাতনী কৃষি অবকাঠামো থেকে বাংলাদেশ সরে এসে এ সব খাতের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। ধানের উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের কৃষিখাতকে পরিমাপ করার দিন চলে গেছে। আমরা এখন এক সাথে অনেক খাতের বিকাশ ঘটাচ্ছি।
যোগাযোগ খাতে যতটা উন্নতি করার কথা ছিল, ততটা করেনি। রাস্তার যে কাজ হয়েছিল, তাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ খাতটা আরও ভালো করা দরকার। তাই এটা রক্ষা করার জন্য আলাদা একটা বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন