শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রামবাসী বানাচ্ছে হাজার ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতু

ডেস্ক রিপোর্ট  : চারপাশে বাওড়বেস্টিত গ্রাম। অনেক বছর ধরে মূল ভূখণ্ডের থেকে বিচ্ছিন্ন। এই গ্রামের মানুষ স্থানীয় উদ্ভাবন আর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখন বাওড়টির ওপর তৈরি করছে এক হাজার ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতু।

যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। দেশ অনেক দিক থেকে উন্নতির মুখ দেখলেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এখনো সমস্যা প্রকট, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে। এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আর তাই অনেক সমস্যা ব্যক্তি বা দলগত উদ্যোগে সমাধান হয়। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ দিলেন যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামের মানুষ।

এক হাজার ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতর জন্য গ্রামবাসী ব্যবহার করছেন লোহার বার ও প্লাস্টিকের ড্রাম। ২০ ফুট বাই আট ফুট একটা ফ্রেম তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে ৩২ জন লোক উঠিয়ে দেখা যায় যে সেটা ভাসমান থাকছে। সেই থেকে এই সেতু তৈরির পরিকল্পনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেতু তৈরিতে মোট ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ফাঁকা ড্রাম, ৩৪ টন লোহা ব্যবহার হচ্ছে । সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগ আর অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া এই সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। মোট ৬০ জন সদস্য ভাগাভাগ করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

এই বছরের আগস্টে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সবাই। সেই সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ সমস্যা দূর হবে।

সূত্র: বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়