শিরোনাম
◈ দেশে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড ঢল: ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে এলো ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা ◈ জানুয়ারিতে চালু হবে ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট  ◈ হাদির খুনিদের দুই সাহায্যকারীকে আটকের দাবি নাকচ করল মেঘালয় পুলিশ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে,আগামী ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে ৮ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি ◈ তাহেরির মাহফিল বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন, জানা গেল কারণ ◈ সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ এনসিপি ও এলডিপি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে: জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ তারেকের প্রত্যাবর্তন বহুত্ববাদ ও কর্তৃত্ববাদী চক্রের জন্যে পরীক্ষা  

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:২৩ সকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উৎপলদের এজেন্সি-ই আটকে রাখে : ড. রোজোয়ান সিদ্দিকী

খন্দকার আলমগীর হোসাইন : কয়েক দিন আগেই বিবিসি একটি রিপোর্ট করেছে, গুমের পর যারাই ফেরত আসে, তারা আর কেউই মুখ খোলে না। অর্থাৎ যে এজেন্সি, এই ক্ষেত্রে আমি এজেন্সিই বলবো কারণে, কোনো ডাকাত এক মাস দু মাস একজনকে আটকে রাখবে না। তাদের কাছে এই রকম আটকে রাখার জায়গা কমই আছে। তাই বলবো, কোনো না কোনো এজেন্সি-ই আটকে রাখে। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও দৈনিক দিনকালের সম্পাদক ড. রোজোয়ান সিদ্দিকী উৎপলের উদ্ধারের পর দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে এই সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাধারণত তারা ফিরে আসার যেটুকু বর্ণনা তারা দেয়, একটি অন্ধকার রুমে তাদের চোখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যখন খাবার সময় আসে তখন খাবার দিয়েছে। গোসলের সময় গোসল করার সুযোগ দিয়েছে। ছোট একটি টয়লেট আছে, চারদিক অন্ধকার ছিল। গুমের পর উদ্ধার হওয়া সবার বর্ণনাগুলো একই ধরনের। যেসব প্রকষ্ঠে তাদের আটকে রাখা হয়, প্রকোষ্ঠগুলোর বর্ণনাও একই হয়। এর অর্থ হলো, একই ধরনের এজেন্সি তাদের ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের এমনভাবে শাশানো হয়, তুমি গিয়ে যদি মুখ খুলো তাহলে তোমার জীবন বিপন্ন হবে। বলা হয়, এবার কোনো রকম বেঁচে গেছো, কিন্তু এর পরের বার আর সম্ভাবনা থাকবে না। সে কারণে আজ পর্যন্ত ওই বর্ণনার বাইরে আর কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি ভিকটিমদের কাছ থেকে।

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আপনি লক্ষ করবেন, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্রিটেনেও নাকি লক্ষাধিক গুম হয় প্রতিদিন। এখন কথা হলো ব্রিটেন ময়দা খায় এই জন্য আপনারাও খাবো। ব্রিটেনে একটা অপরাধ হয়েছে বলে আপনাদের এখানেও এই অপরাধ হতে হবে। এটা জাস্টিফাই, প্রধানমন্ত্রী নিজে এটা জাস্টিফাই করেছেন। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটা অপরাধকে জাস্টিফাই করছেন, সেখানে তো আর বলার কিছু থাকে না। সেখানে অপরাধ বাড়বেই, কমবে না। উৎপল দাশের যে ফিরে এসেছেন, আমি তার জন্য শুভ কামনা করি। আমি আশা করি, সে সত্য কথা বলার সাহস দেখাবেন।’

প্রখ্যাত এই বুদ্ধিজীবী বলেন, কে উৎপলকে নিয়েছে? কী কারণে নিয়েছে? কী করা হয়েছে তাদের সাথে? তাদের পরিচয় কী? কিছুই বলতে শুনা যায় না তাদের মুখ থেকে। সবাই একই বর্ণনা দিয়ে থাকে। আবার অনেক সময় বলতে শুনা যায়, তাদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের এভাবেই শিখিয়ে দেয়া হয়। এর বাহিরে যদি আর একটি কথাও বলে তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে এবং মৃত্যুর হুমকি দিয়ে থাকে। ফলে এ কারণে, কেউই আজ পর্যন্ত তাদের গুমের অভিজ্ঞতার কথা বলেনি। এমনকি তারা পরিবারের কাছেও বলে না। যদিও বা পরিবারের কাছে বলেও থাকে তাহলে পরিবার কোনো দিন প্রকাশ করে না। অনেক পরিবার তাদের ফেরত আসা হারিয়ে যাওয়া স্বজনকে বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আবার কজনই বা তাদের স্বজনকে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে।

তিনি বলেন, উৎপল দাশের সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে। উৎপলের পরিবারেরও তাকে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে না। এখন সে যে সাংবাদিকতা করতো, তা আবার শুরু করতে পারবে কিনা আমার সংশয় আছে। এই যে ঘটনাটা, এটা দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ঘটেছে। আশ্চার্য ব্যাপার হলো, যে এজেন্সি ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তারা ধরে নিয়ে অস্বীকার করলেই হলো। এই যে র‌্যাবের গাড়িতে করে এসে, র‌্যাবের পোষাক পরে, তাদের হাতে ওয়াকি টকি থাকে, তাদের পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে গিয়েই অস্বীকার করে। এখন তুলে নিয়ে যাওয়ার পর অস্বীকার করলে তো আমাদের আর কিছু করার নেই। তখন তো আর ছবি তুলে রাখা যায় না বা এগুলো তো সম্ভবও না। এই যে একটি পরিস্থিতি, এখন দেশব্যাপী এই যে অরাজগতা, গুম, খুনে অবাধ সরকারি সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সরকার থেকেই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয় এবং এদের কোন জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই এগুলো বেড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়