হায়দার আকবর খান রনো : আমাদের দেশে অনেক দিন ধরেই রোহিঙ্গারা আছে। তাদের পুনর্বাসনের যুক্তি রয়েছে। তারপরও রোহিঙ্গারা এখনো আমাদের দেশে প্রতিদিন পালিয়ে আসছে। তাহলে এসব চুক্তির মূল্য কি? তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নিয়ে কথা বলতে। এসব কিছু না করে, সমাধান করবে এটা মুখে না বলে ইচ্ছে করলেই তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো রোহিঙ্গাদের ভাগাভাগি করে নিতে পারে। কারণ, আমাদের দেশটি খুব ছোট দেশ। আমাদের মধ্যেই রয়েছে নানান সমস্যা। এর মধ্যে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। এখনো আসছে। যার জন্য আমাদের উপর একটি চাপ পড়েছে। অবশ্য শুধু চাপ নয়, ভীষণ চাপ। আমরা গরীব দেশ। দেশ অনুযায়ী লোক সংখ্যা বেশি। তারা ইচ্ছে করলে বলতে পারে, আচ্ছা ঠিক আছে, রোহিঙ্গাদের আমরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যাই। যেমন: সিরিয়া থেকে যারা উদ্বাস্তু হয়েছিল, তাদেরকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলো ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও কেউ কোনো উপকার করতে চাইলে এভাবে করতে হবে। শুধু মুখে বললে হবে না, এটা করব ওটা করব।
কাজ করে দেখাতে হবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সরকারও যে চুক্তিটি করেছে, এটা খুবই অযৌক্তিক হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকার যাদের মনে করবে তাদের নাগরিক, শুধু তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেবে। না হলে নিবে না। তাও আবার কবে নিবে, না নিবে তার কোনো ঠিক নেই। আর একটি বিষয়, এখন আমি যদি বলি তোমরা মিয়ানমারে ফিরে যাও, তাহলে কি তারা ফিরে যাবে? যাবে না। তাদেরকে ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। এখন রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে , মিয়ানমার সরকারের সাথে বৈঠক করে একটি ব্যবস্থা করতে হবে । না হলে অন্য কিছু যে যাই বলুক, এগুলো কোনো কাজে আসবে না। এগুলো শুধু মৌখিক কথা বার্তা। এই মৌখিক কথাবার্তাগুলো মূল্যহীন। তাই যেটা করলে ভালো হবে সেটাই করতে হবে।
পরিচিতি : সভাপতিম-লীর সদস্য, সিপিবি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :