ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনে চাকরির জন্য আবেদন করার সময় মাথার হিজাব পরা মুসলিম নারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি বৈষম্যের শিকার হন। ডেইলি সাবাহ
নেদারল্যান্ডের ইউট্রেচ্ট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও জার্মান সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশন রিসার্চ এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপীয় শ্রমবাজার নিয়ে একটি গবেষণা করে। সেখানে উঠে এসেছে জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও স্পেনে চাকরির আবেদন করার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিম নারীরা অনেক বেশি বৈষম্যের শিকার হন। গবেষণার ফলাফল চলতি মাসের শুরুতে অক্সফোর্ডের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের কাছে যে সিভিগুলো জমা হয়, সেগুলোর ছবিতে শুধু হিজাব পরা নারী আর হিজাব না পরা নারীদের মধ্যে অনেক বেশি বৈষম্য তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নেদারল্যান্ডে সিভি জমা দেওয়ার পর হিজাব পরা নারীদের ডাকা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। আর হিজাব পরা ছাড়া নারীদের ডাকা হয়েছে ৭০ শতাংশ। সিভিতে হিজাব পরা ছবি দেওয়ার পর জার্মানিতে নারীদের ডাকা হয়েছে ২৫ শতাংশ। আর হিজাব না পরা নারীদের ডাকা হয়েছে ৫৩ শতাংশ। তবে নেদারল্যান্ড ও জার্মানির চেয়ে এ সমস্যা অনেক কম স্পেনে।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, জার্মানিতে মুসলিম নারীরা সিভি জমা দেওয়ার পর তাদের প্রায় অর্ধেককে কখনো কখনো ডাকা হয়। কিন্তু যারা হিজাব পরা তাদের ৭৫ শতাংশকে কিছুই বলা হয় না।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, মুসলিমরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি শাস্তির সম্মুখীন হয়। মুসলমানরা রক্ষণশীল সমাজে বসবাস করতে পছন্দ করে। সেই সঙ্গে তারা লিঙ্গ ভেদে অনেক কার্যক্রম পার্থক্য করে। আর এটা ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও পশ্চিমা সমাজের ধর্মনিরপেক্ষ জীবনধারার সাথে বিরোধপূর্ণ সমস্যা। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :