শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৪:০৭ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৫:২৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এটুআই নিয়ে সংসদে ফখরুল ইমামের বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নিন্দা 

মাজহারুল মিচেল: ময়মনসিংহ-৮ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম গত বুধবার জাতীয় সংসদে তথ্যপ্রযুক্তির সকল সংগঠনকে জড়িয়ে ‘মিথ্যাচার’ করায় ওই রাতেই তাৎক্ষণিক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নিন্দা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ পাঁচ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ জানান, ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) বিল, ২০২৩’ এর বিপক্ষে আমাদের সকল সংগঠনের অবস্থানে থাকার কথা সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য দিয়েছেন জাতীয় সংসদে। বিলের বিপক্ষে আপত্তি আছে বলে তিনি উদাহরণস্বরুপ যে চিঠিটি উথাপন করেছেন সেটি আমরা যৌথভাবে ২০২২ সালে অন্য বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশনের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে সংসদে মিথ্যাচার করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মে দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং বলেছেন, আমরা চিঠির দাবি থেকে এক চুলও সরে আসিনি এবং তিনি সংসদে আসার আগেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা। এটা আমাদের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই বিষয়টি অবহিত করে আমরা অবশ্যই স্পিকার বরাবর চিঠি দেবো। তার এ ধরণের বক্তব্য হতাশাজনক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, সংসদ সদস্যের এমন কথায় আমরা লজ্জিত। শুধু আজ নয়, কখনোই উনার সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি। 

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেছেন, আমরা উনাকে চিনি না। উনি যা বলেছেন তা ডাহা মিথ্যা কথা।

এছাড়াও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি সুব্রত সরকার নিন্দা জানান।

উল্লেখ্য, ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) বিল, ২০২৩’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি।

বিল উত্থাপনের পর স্পিকার উক্ত বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দেয়ার সময় তিনি বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্কো এবং ই-ক্যাব এই পাঁচটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে বিলের বিপক্ষে আপত্তি আছে বলে সংসদে বক্তব্য দেন ফকরুল ইমাম। সম্পাদনা: এল আর বাদল

এমএম/এলআরবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়