ইমরুল শাহেদ: টুইটারে হেটস্পিচ বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মালিক ইলন মাস্ক । বারবারই বলেছেন, টুইটারে ছড়িয়ে পড়া বিদ্বেষ রুখতে সক্রিয় হতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে তা খুব খারাপ একটা নজির তৈরি করবে। এবার মাস্ক দাবি করলেন, টুইটারে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের সংখ্যা ইতোমধ্যেই এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এই তথ্যের সপক্ষে তিনি কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন টুইটারে এবং তিনি টুইটার টিমকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। দি ওয়াল
কীভাবে সম্ভব হল এমনটা? ইলন মাস্কের কথায়, ‘একদিনে সর্বোচ্চ কতগুলো টুইট করা যাবে, সেই সংখ্যাটা বেঁধে দেওয়ায় অনেকটা উপকার হয়েছে। এছাড়াও প্রায় হাজার দেড়েক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো থেকে বিদ্বেষ ছড়াত। তাদেরও রিপোর্ট করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মাস্ক ঘোষণা করেন, টুইটারের নতুন পলিসি হলো, ‘বাকস্বাধীনতা আছে, কিন্তু তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার স্বাধীনতা নেই। তাই টুইটার ঠিক করেছে, যে সমস্ত টুইটে হেটস্পিচ থাকবে, নেতিবাচক বক্তব্য থাকবে, সেইসব টুইটকে কোনওভাবেই প্রোমোট করা হবে না।’
কোনও ফিল্টার ছাড়াই নানা রকম সস্তার জোক এবং বৈষম্যমূলক কথাবার্তা প্রচুর ভাইরাল হয়ে যাচ্ছিল। সেসব দেখাশোনার জন্য এবার ‘কনটেন্ট মডারেশন কাউন্সিল’ বসিয়েছে টুইটার। স্পষ্টতই, বিজ্ঞাপনদাতাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেশি বাড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ মাস্কের।
আবার অন্যদিকে মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেশ কিছু বিতর্কিত ও ব্যান হওয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট ফের চালু করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কেনেই ওয়েস্টের অ্যাকাউন্টও রয়েছে তার মধ্যে। এই অ্যাকাউন্টগুলি সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যই।
আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :