শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৩, ০১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৩, ০৭:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধনী হিসেবে শীর্ষে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্র দেশ মোনাকো!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মোনাকো। পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। এটি ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। আরেকটু বিস্তারিত বললে, এ হলো ফ্রান্সের ভেতরেই স্বতন্ত্র একটি দেশ। যে দেশে পা রাখলে, চোখ মেলে তাকালে এবং বিভিন্ন তথ্য জানলে এই কথাটাই মনে হতে পারে– মোনাকো: দ্য মিস্ট্রি অ্যান্ড ম্যাজিক! সূত্র :  দেশবিদেশ

ফ্রান্সের কান শহর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে মোনাকো পৌঁছাতে লাগে মাত্র ২৫ মিনিট। আর পুরোটা ঘুরতে লাগে বড়জোড় ঘণ্টাখানেক। তবে দেশটিতে যাওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই যে কারও মধ্যে অপার মুগ্ধতা ও বিস্ময়ের অনুভূতি জাগবে।

দেশটির প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৮ হাজারের বেশি এবং ঘনত্বের দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।

এখানকার জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৬ হাজার। দেশটি ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। দেশ আলাদা হলেও ভাষা তাদের ফরাসি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হলেও মোনাকো পুরোটা সাজানো ছবির মতো। পুরো মোনাকো গড়ে উঠেছে পাহাড় আর সমুদ্রের কোলে। এসব প্রাকৃতিক প্রাচুর্যই দেশটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

মোনাকোর জন্ম ১৪৯৪ সালে। দেশটি পরিচালিত হয় রাজতন্ত্রের মাধ্যমে। এখানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত। মোনাকোর বর্তমান শাসকের নাম আলবার্ট দ্বিতীয়। তিনিই বর্তমানে দেশটির প্রধান ব্যক্তি। তার রাজপরিবার মোনাকোর সম্পূর্ণ অর্থনীতি দেখাশোনা করে।রাজপ্রাসাদের প্রহরী বদল হয় ঘণ্টায় ঘণ্টায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফর্মুলা ওয়ান (স্পোর্টস কার রেসিং) পরিচালিত হয় এই দেশেই। এখানকার আয়ের বড় দুই উৎস পর্যটন ও কার রেসিং। ক্যাসিনো ও পর্যটন শিল্প দেশটির প্রধান চালিকাশক্তি। এরমধ্যে প্রধান আকর্ষণ ক্যাসিনো তথা জুয়া। এটাই মোনাকোর আয়ের সবচেয়ে বড় খাত। মজার ব্যাপার হলো, মোনাকোর নাগরিকরা ক্যাসিনোতে প্রবেশ করতে পারেন না!

আলাদা করে রাজধানী না থাকলেও মন্টেকার্লোকে (ক্যাসিনো কেন্দ্র) মোনাকোর কেন্দ্র বলা হয়। জুয়াখেলার অঙ্কের যে তত্ত্ব প্রযোজ্য, সেই সম্ভাবনা তত্ত্বের এক বিখ্যাত পদ্ধতির নাম মন্টেকার্লো মেথড।

গত বছরের হিসাবে, মোনাকোর বর্তমান মাথাপিছু আয় প্রায় ২ লাখ ইউরো (প্রায় ২২ লাখ টাকা)। মোনাকোর মোট জিডিপি হলো ৫০০ কোটি ইউরোর কাছাকাছি। পৃথিবীর সবচেয়ে কম দরিদ্র লোকের বসবাস এই দেশে।

উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, দেশটির নাগরিকদের কোনও আয়কর দিতে হয় না। সেদিক দিয়ে এই দেশটি সম্ভবত পৃথিবী থেকে আলাদা! প্রচলিত আছে– যেহেতু আয়কর দিতে হয় না, তাই বিশ্বের অনেক ধনী এখানে সম্পদ লুকিয়ে রাখেন! গোটা বিশ্বের যত বিত্তবান লোক আছেন, তাদের প্রায় সবার পা পড়ে এই দেশে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়