রিয়াদ হাসান: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকায় শেষ পর্বের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল এবং খুলনা টাইগার্স। শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া সাকিবদের সামনে এই ম্যাচ ছিল সেরা দুইয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখার লড়াই। অন্যদিকে বরিশালের বিপক্ষে বাচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল খুলনা টাইগার্স। হারলেই প্রথম দল হিসেবে বাদ পড়তে হবে, এমনটা জেনেই মাঠে নেমেছিল খুলনার ক্রিকেটাররা।
শেষ পর্যন্ত বাচা-মরার লড়াইয়ে ৩৭ রানের ব্যবধানে হেরে প্রথম দল হিসেবে বিপিএল থেকে ছিটকে গেলো খুলনা। ১০ ম্যাচ শেষে দলটি সংগ্রহ করতে পেরেছে মোটে ৪ পয়েন্ট। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও আর ওঠার সম্ভাবনা নেই খুলনার।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই চার-ছয় শুরু করে বরিশালের ওপেনার আনামুল হক বিজয়। তবে মাত্র ১২ রান করে আউট হন বিজয়। উইকেট হারালেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। প্রথমবার ওপেনিং করতে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৩৮ রান করেন। তিনে নেমে ইব্রাহিম জাদরান ২৩ বলে ২৩ রান করেন। ইব্রাহিম স্লো খেললেও চারে নেমে সাকিব আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। ২১ বলে ১টি চার ও ৪টি ছয়ে খেলেন ৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। কেবল সাকিব নয় পাঁচে নেমে ইফতিখারও ঝড় তোলেন, ৩১ বলে ৩টি করে চার-ছয়ে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান। শেষদিকে নেমে করিম জানাত ৮ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন। খুলনা টাইগার্সের পক্ষে পল ফন মিকেরেন ৪৮ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। হাসান মুরাদ এবং নাহিদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৯৫ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ইয়াসির রাব্বি এবং অধিনায়ক শেই হোপ ছাড়া আর কেউই ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে পারেনি। তামিম ১ রান করেই সাজ ঘরে ফেরেন। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইয়াসির। এছাড়া শেই হোপের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। নাহিদুল করেন ২৪ রান।
বরিশালের পক্ষে করিম জানাত মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট। খালেদ আহমেদ ২টি এবং ওয়াশিম-সাকিব নেন ১টি করে উইকেট।
আরএইচ/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :