স্পোর্টস ডেস্ক: জেমি ডে ইস্যুতে ফিফার দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বাফুফেকে। নিজের পাওনা বেতন চাইতে ফিফায় অভিযোগ করেন বাংলাদেশের সাবেক ফুটবল কোচ। অভিযোগ আমলে নিয়ে ১১ অক্টোবর শুনানির জন্য দুই পক্ষকে ডেকেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার চূড়ান্ত রায় আসতে পারে এ মাসের শেষে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা গুনতে হতে পারে বাফুফেকে। সময় অনলাইন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি ডে। সাফল্যের দিক দিয়ে যিনি এগিয়ে ছিলেন অতীতের অনেক কোচ থেকে।
চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি ছিল বাফুফের। কিন্তু গেল বছর অক্টোবরে হঠাৎই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জেমিকে। তার দাবি, আগস্ট পর্যন্ত বেতন পাওয়ার চুক্তি ছিল বাফুফে থেকে।
কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গেল এপ্রিলে সময় সংবাদে জেমি জানান, হঠাৎ করেই তার বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন ব্রিটিশ কোচ। ২২ এপ্রিল এ নিয়ে সময় সংবাদে প্রচারিত হয় প্রতিবেদন।
গেল ক'মাস ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন জেমি ডে। বাফুফেও তার পক্ষে যুক্তি-পত্র উপস্থাপন করেছে ফিফার কাছে। অবশেষে আগামী ১১ অক্টোবর ফিফার শুনানিতে অংশ নিতে যাচ্ছে বাফুফে। দুই পক্ষের শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় আসতে পারে এ মাসের শেষদিকে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘কোচের সঙ্গে আমাদের কী চুক্তি ছিল, তার কী কী টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ছিল, তার বেসিসেই কিন্তু অনেক লিগ্যাল ডিসপুটস, মতৈক্য, মতানৈক্য এ বিষয়গুলো থাকে। অফিসিয়াল ডিসিশন অনুযায়ী যা যা করার ছিল, আমাদের পক্ষ থেকে করেছি এবং ফিফা থেকে যে ডিসিশন আসবে আমরা অবশ্যই তা অনুসরণ করব।’
জেমি ডে'র করা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাফুফেকে গুনতে হবে জেমির বেতন সহ বড় অঙ্কের জরিমানা। অতীতেও দায়িত্ব ছাড়ার প্রক্রিয়াটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের সাবেক কোচদের জন্যে। যদিও বাফুফে বলছে তারা নিয়ম মেনেই অব্যাহতি দিয়েছে জেমিকে।
জেমিকে বাদ দেয়ার পর হ্যাভিয়ের কাবরেরার অধীনে ৮ ম্যাচে মাত্র ১ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
আপনার মতামত লিখুন :