মাকসুদ রহমান: ইউরো নেশনসের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ঘরের মাঠে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-২ গোলে হেরেছে স্বাগতিক স্পেন। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এটি সুইজারল্যান্ডের কাছে স্পেনের দ্বিতীয় হার এর আগে ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলায় সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশরা। সকারওয়ে
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই শুরু থেকেই সফরকারি সুইজারল্যান্ডের উপর একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে পেদ্রি, অ্যাসেনসিও ও তরেসের মত তারকারা। সুযোগ তৈরি হওয়ার পরও স্পেনকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি সুইজরা। খেলায় প্রথম কর্ণার পেয়েই ২১ মিনিটে ভার্গাসের শটে মাথা ছুঁইয়ে সফরকারিদের লিড এনে দেন আকাঙ্জি। খেলার ৩৫ মিনিটে আরো একবার কর্ণার পায় সুইজরা। উইডমারের হেড ডি বক্সের ভেতর তরেসের হাতে লাগলেও রেফারির পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তে পেনাল্টি বঞ্চিত হয় সফরকারিরা। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মুরাদ ইয়াকিনের শিষ্যরা। গুগল
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটেই অ্যাসেনসিও’র বাড়ানো বলে চোখ ধাঁধানো গোলে স্বাগতিকদের সমতায় ফিরিয়ে গ্যালারিতে স্বস্তি নিয়ে আসেন জর্দি আলবা। অবশ্য তিন মিনিট পরেই জারাগোজার ৩২ হাজার সমর্থককে হতাশায় ডুবিয়ে সুইজদের দ্বিতীয়বার এগিয়ে নেন এম্বোলো। পরে দলে স্পেন আরো পাঁচটি পরিবর্তন আনলেও হার এড়াতে পারেনি এ্যানরিকের দল। গুগল স্পোর্টস
সুইজারল্যান্ডের কাছে হারায় ইউরো নেশন্স কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ায় শঙ্কায় টুর্নামেন্টের গত আসরের রানার আপরা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আগামী বুধবার পর্তুগালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই লুইস এ্যানরিকের শিষ্যদের সামনে। তবে সে ক্ষেত্রের কঠিন বাস্তবতার সামনে স্প্যানিশরা। কারণ বিগত একযুগের বেশি সময়ে পর্তুগালের বিপক্ষে যেমন কোন ম্যাচ জেতার স্মৃতি নেই স্পেনের তেমনি গত ১৯ বছরে পর্তুগালের মাটিতে কখনো রোনালদোদের হারাতে পারেনি স্পেন।
আপনার মতামত লিখুন :