নিউজ ডেস্ক: সারাদিন স্বপ্নের ছাদখোলা বাসে চড়ে বাফুফে ভবনে এসে উল্টো চিত্র দেখতে পেলেন সাফজয়ী মেয়েরা। ভবনে এসে প্রবেশ করতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে তাদের। প্রটোকলের বেহাল অবস্থা থাকায় সাধারণ মানুষও প্রবেশ করেছে সেখানে। পুরো রাস্তাজুড়েও মেয়েদের বাসের সঙ্গে ছিলো না প্রটোকল। ফলে বাসের সঙ্গে ভবনেও প্রবেশ করেছে বহিরাগতরা। বাংলা নিউজ ২৪
ভবনেই শুরু হয়েছে হট্টগোল। যেখানে খোদ ধাক্কাধাক্কির শিকার হয়েছেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিনও। পুলিশদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে পরিস্থিতি। গেটের ভেতরে ঢোকার পথেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি। বহিরাগতদের ভিড়ে সাংবাদিকরা অনেকেই পড়ে গেছেন। কেউ কেউ পেয়েছেন আঘাতও।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিটে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনে এসে পৌঁছায় সাফজয়ী মেয়েরা।
ছাদখোলা বাসে বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো ক্রীড়া দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রকৃতি যেন সেজেছে অন্য সাজে। রাজধানীর আকাশে কখনও ঝকঝকে রোদ আবার মেঘলা আকাশ। ক্ষণে-ক্ষণে রং বদলাচ্ছিল। এ যেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের জন্য প্রকৃতির আয়োজন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও বাফুফে কর্মকর্তারা।
ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা জানান, ছাদখোলা বাসে কোনো ক্রীড়া দলকে সংবর্ধনা দেওয়া বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এর আগে ১৯৯৭ সালে জাতীয় ক্রিকেট দল আইসিসি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর তাদের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তবে বিমানবন্দর থেকে দল শহরে এসেছিল শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসে।
বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসটি যাত্রা শুরু করে কাকলি হয়ে। এরপর মহাখালী ফ্লাইওভার ব্যবহার করে জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অফিসের পর বিজয় সরণীতে আসে। সেখান থেকে তেজগাঁও হয়ে পুনরায় ফ্লাইওভার দিয়ে মৌচাক হয়ে কাকরাইলে আসে বাসটি। কাকরাইল থেকে হাতের বাঁয়ে- ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং মতিঝিল ও শাপলা চত্বর হয়ে বাফুফে এসে পৌঁছেছে সাফজয়ী মেয়েরা।
আপনার মতামত লিখুন :