স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট বোর্ড সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা যেনো ফেঁসে গেলেন ৩৮ ক্লাবের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণায়। এবার শ্যাম রাখি না কুল রাখি' অবস্থার মধ্যে ক্রীড়া উপদেষ্টা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের প্রতিবাদে সব ধরণের ঘরোয়া আসর বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের তিন বিভাগের ৩৮ ক্লাব, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ঢাকার একদম শীর্ষ ক্লাব।
ক্লাবগুলোর অন্যতম সংগঠক মাসুদুজ্জামান বুধবার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে তারা সব ধরনের ঘরোয়া লীগ বর্জন করছেন।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গেনাইজার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান ও ক্রীড়া সংগঠক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান এর মতো সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহামেডানের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, 'আমরা দেশে অনেক রকমের নির্বাচন দেখেছি আগে রাতের ভোট দেখেছি, দিনের ভোট দেখেছি, কারচুপি দেখেছি। সেসব কিছু ছাপিয়ে গেছে গত ৬ তারিখের নির্বাচন। আপনারা সাংবাদিকরা দেখেছেন কী হয়েছে নির্বাচনে।
তাদের হয়ত আমাদের প্রয়োজন নেই। কাজেই সামনে ফেডারেশন ক্রিকেট লিগ আছে, সেখান থেকে যাবতীয় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ আছে, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার ডিভিশন আমরা যে সব ক্লাব আছি ভেবেছিলাম অংশ নেব। আজ থেকে আমরা বলতে চাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য হারিয়েছে।
আপনারা যদি এভাবে চলতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না। এবং জেলায়তেও তাই। এখানে জেলা প্রতিনিধি আছেন প্রতিনিধি আছেন রেদওয়ান ভাই। আমরা জেলা পর্যায় থেকেও ক্রিকেট বর্জন করব। এবং যেকোনোভাবেই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।
আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন কাউকে যদি হুমকি দেয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।
মাসুদুজ্জামান বলেন, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে তারা বৈধ সভাপতি মানেন না, 'আলোচনার কিছু নাই। আমরা নির্বাচনটাই মানছি না। উনি (বুলবুল) অবৈধ হয়েছেন। আমাদের হিসেবে তিনি অবৈধ।