স্পোর্টস ডেস্ক : বল হাতে হতাশার দিনে ব্যাট হাতে শুরুটাও হয়েছিল ব্যর্থতায় দিয়ে। মাঝে সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদের Iজুটিতে শিরোপা ধরে রাখার আশা আবার জেগেছিল রংপুর রাইডার্সের। কিন্তু আরেকটি ব্যাটিং ধসে তা আর হয়নি। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। -- অলআউট স্পোর্টস
গায়ানায় বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে শেষ হওয়া দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। জবাবে এক বল আগে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
গায়ানাকে বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দেন জনসন চার্লস ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ ওভারে এভিন লুইসকে (৫) ফিরিয়ে খালেদ আহমেদ ২১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দলের হাল ধরেন তারা। এই দুই ব্যাটারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেটে দলের খাতায় যোগ হয় ৭০ বলে ১২১ রান।
১৫ ওভার শেষে ৬৭ রান করা চার্লস রিটায়ার্ড আউট হয়ে বেরিয়ে যান। পরের ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন ৬৬ রান করা গুরবাজ। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ডের ৯ বলে ২৮ রানের ইনিংসে জিএসএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে গায়ানা। এর আগে কোনো দল ১৮০ রানও করতে পারেনি।
রান তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ারপ্লেতে ৩২ রানের ভেতর টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান (৫), সৌম্য সরকার (১৩) ও কাইল মায়ার্সকে (৫) হারায় তারা। চতুর্থ উইকেটে পাল্টা আক্রমণে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন সাইফ-ইফতিখার জুটি। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ২৬ বলে ৪১ রান করা সাইফ রানআউটে কাটা পড়লে ভাঙে ৭৩ রানের জুটিটি। পরের ২৪ রান যোগ করতে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৫ রান করে। শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১৭ বলে ৩০ রানে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমে।
গত বছর প্রথম আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা জিতেছিল রংপুর। এবার টানা তিন ম্যাচ জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল তারা। কিন্তু লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের পর ফাইনালেও হেরে শিরোপা হাতছাড়া করল সোহানের দল।
