স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে যে ধরনের লড়াই জমে ওঠার কথা ছিল, তেমনটা হয়নি। উল্টো জস হ্যাজেলউড, ইয়াশ দয়াল, সুয়াশ শর্মাদের নৈপুণ্যে দর্শকরা এ দিন দেখেছে কম রানের ম্যাচ। যেখানে মাত্র ১০১ রান করে পাঞ্জাব কিংস। জবাবে ফিল সল্টের হাফ সেঞ্চুরিতে অনায়সে এই লক্ষ্য অতিক্রম করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ম্যাচটি বরাবর দশ ওভার হাতে রেখে আট উইকেটে জিতে এবারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেল বিরাট কোহলি-রজত পাতিদারের দলটি। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ১৪.১ ওভারে থেমে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস। টস জিতে পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াশ আয়ারকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
ওপেনার প্রিয়ানশ আরিয়া ৭ রান করে আউট হন। ইয়াশের বলে কাভারে ক্যাচ দেন তিনি। ১৮ রান করেন প্রভশিমরান সিং। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আইয়ারকে দুই রানে ফেরান হ্যাজেলউড। তিনিও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
হ্যাজেলউডের স্বদেশী জস ইংলিস ৪ রানে থাকা অবস্থায় তারি বলে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। তারপর নেহাল ওয়াধেরাকে ৮ রানে বোল্ড করেন ইয়াশ। শেষদিকে মার্কাস স্টইনিস ১৭ বলে ২৬ রান করেন আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১২ বলে ১৮ রান করেন, ফলে একশ পেরিয়ে যায় দলটি।
স্টইনিস, শশাঙ্ক সিং ও মুশির খানের উইকেট নেন সুয়াশ শর্মা। প্রথম দুজনকে বোল্ড ও শেষের জনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। হ্যাজেলউড এবং সুয়াশ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন ইয়াশ। একটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর এবং রোমারিও শেফার্ড।
রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩০ রানে ফিরে যান কোহলি। ১২ বলে ১২ রান করে কাইল জেমিসনের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। লক্ষ্যের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে যান ১৩ বলে ১৯ রান করা মায়াঙ্ক আগারওয়ালও। তার উইকেটটি নেন মুশির খান।
সল্ট অবশ্য দলকে নিরাপদেই লক্ষ্যে পৌঁছান। ২৭ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। চারে নামা পাতিদার অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১৫ রান করে। আগামীকাল এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাট টাইটান্স। এদের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাবে পাঞ্জাব।