শিরোনাম
◈ আটকে রাখা তিন কার্গো, বাণিজ্যে ‘ভাগ’ চায় আরাকান আর্মি! ◈ আগস্ট মাসে নির্বাচন চান রাজনীতিবিদরা, কিন্তু কতটা যৌক্তিক ◈ শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্যই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ◈ ১৮ দিনে এলো ১৪৭২৩ কোটি টাকা, ৯টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স ◈ বিস্ফোরণে দগ্ধ  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী মারা গেছেন  ◈ ফল প্রকাশ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার  ◈ শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের নামে মামলা করতে ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের পরামর্শ চান ◈ জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সমর্থন জুলাই-আগস্টে হওয়া অপরাধের বিচারে  ◈ ৮০ বছরের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে উল্টিয়ে দেবেন ট্রাম্প : দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:২১ রাত
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়, সরকারি ভাষা- ক্রিকেটার অশ্বিনের মন্তব্যে উত্তপ্ত ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতে হিন্দিকে ‘এক দেশ এক ভাষা’ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর কাছে এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে তামিলনাড়ু, বিশেষত, হিন্দি ভাষার প্রতি প্রতিবাদ জানাতে কখনোই পিছপা হয়নি। এবার এই ইতিহাস আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন তামিলনাড়ু থেকে উঠে আসা প্রখ্যাত ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে অশ্বিন সাফ জানিয়ে দেন, হিন্দি ভারতের শুধু সরকারি ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়। এটি কাজের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতের ভাষাগত তর্ক নতুন কিছু নয়, তবে অশ্বিনের বক্তব্য একেবারে সোজাসাপ্টা ছিল। চ্যানেল২৪ 

অশ্বিন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় জিজ্ঞেস করেন, এখানে ইংরেজি কত জন বোঝে? বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উত্তর দেন, তারা ইংরেজি বোঝেন। এরপর তামিল ভাষা নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেন এবং সেই প্রশ্নেরও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসে। কিন্তু যখন হিন্দি ভাষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন অনেকেরই সাড়া কমে যায়। এই পরিস্থিতি দেখেই অশ্বিন বলেন, হিন্দি আমাদের সরকারি ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়।

ভারতের সংবিধানে হিন্দি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, তামিলনাড়ুতে ১৯৩০-৪০ এর দশকে যখন হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, তখন তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। তামিল জনগণের দাবি ছিল, তাদের মাতৃভাষাই তাদের জাতির পরিচয়, এবং সেটি রক্ষা করা উচিত।

এই মন্তব্যের পর রাজনীতির অঙ্গনেও আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলোতে, যেখানে হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়