শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০২৩, ১০:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

শেরপুর-১ আসনে আ'লীগে নৌকার টিকিট পেতে মরিয়া, মাঠে নেমেছে  বিএনপি 

শেরপুর-১

তপু সরকার হারুন, শেরপুর: আগামী নির্বাচনকে  সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্য চলছে গত ১৫ বছরে নিজেদের মধ্য আদিপত্য- রাম রাজত্ব কায়েম এবং নিজের আখের গোছানো থেকে শুরু করে।পরবর্তী দিনগুলি নিরাপদ থাকতে বি এনপি -জামায়াতকে সুবিধা দেওয়া, উপ-টৌকন , আত্মীয় করন সর্বো শেষে বিভিন্ন নাশকতা মামলার তালিকা ভুক্তদের রাজপথে সক্রিয় এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে নেতৃত্বে  সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নেওয়াই ছিল শেরপুর ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের কাজ।
 
এদিকে গত ১৫ বছরে বিএনপি  নেতাকর্মীদের আন্দোলনের নামে শত শত মামলা, হামলা হলেও মাঠ থেকে সরে যায়নি বিএনপি। শুধু তার ঘর বাদ দিয়ে অন্যঘরে রাত কাটিয়েই পার হলো তাদের সময়। বিএনপি ও জামায়াত গত ১৫ বছরে আন্দোলনের নামে রাজপথে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা বা নাশকতার মতো ঘটনা ঘটার আগেই রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা ও নিরাপওা নিয়োজিত পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা  সাধারণ মানুষের পাশে ছিল সক্রিয় ।

আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে মনোনয়ন যুদ্ধ থাকলেও প্রার্থীরা প্রস্তুত। এলাকায় দাপটের সঙ্গেই নির্বাচনি মাঠ দখল ও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলেও একাদিক আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন।

শেরপুর-১ আসনে ১৪টি  ইউনিয়নে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫৩ ভোটার। এর মধ্য পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫শ’ ৫২ ভোট এবং নারী ভোটারের সংখ্যাও ১ লাখ ৮১ হাজার ৫শ’ ২৮ জন। 

আসনটিতে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মুক্তিযোদ্ধা আতিউর হমান আতিক এম পি ১বার উপজেলা ও ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। শেরপুরে  রয়েছে তার ক্লিন ইমেজ সব মিলিয়ে এ আসনে আওয়ামী লীগের বেশ শক্ত অবস্থান। আতিক আগামী নির্বাচনেও দলের নিশ্চিত মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেও আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

মনোনয়ন পেতে তৎপরতায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সফল সভাপতি ও  রাজনৈতিক কর্মী বান্দব শৈরাচার বিরোধী ও বিএনপি জামাত সরকারের নিষ্পেশিত নির্যাতিত দুঃসময়ের রাজ পথের কান্ডারী  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু। 

মনোনয়ন যুদ্ধে নামতে পারেন শেরপুরের ক্লিন ইমেজ পরিছন্ন রাজনিতিবীদ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি মরহুম নিজামউদ্দিন আহাম্মেদ এর ছেলে ৩বারের সফল মেয়র গোলাম মো. কিবরিয়া লিটন। কেন্দ্রে রয়েছে তার বিশাল প্রভাব। হুমায়ুন কবির রুমান যার রাজনৈতিক মেধা এতোটাই পরিষ্কার একবার দলীয়ও মনোনয়নে পৌর মেয়র হয়ে সফলতার সঙ্গে পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা তৈরি করেন। অত্যন্ত কর্মী প্রেমিক সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সব সময় কর্মী বেষ্ঠিত থাকেন। তিনিও রাজনৈতিক কর্মী বান্দব শৈরাচার বিরোধী ও বিএনপি জামাত সরকারের  নির্যাতিত দুঃসময়ের রাজ পথের সময়ের সাহসী সন্তান বাবা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুবক্কর। হুমায়ুন কুমার রুমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। যার একক সিদান্তে দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে ২বার শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।পরবর্তীতে  দল তাকে সাধারণ ক্ষমা করেন।

মনোনয়ন চাইবেন শেরপুর আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। যাকে সব সময় অসহায়দের পাশে পাওয়া যায়। সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা যুব মহিলা লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি এড. ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।

অপরদিকে  স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে খন্দকার আব্দুল হামিদের মাধ্যমে (১৯৯৬ সালের ১৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাদে) একবার জয়ের স্বাদ পেয়েছিল (বিএনপি)।
 
এক সময় শেরপুরে (বিএনপির) একটি বড় ভোট ব্যাংক থাকলেও নানা সংকট এবং নিজেদের মধ্য আন্ত কলহ থাকায় আসনটি দীর্ঘ দিন ধরে  বিএনপির হাত ছাড়া। শেরপুর জেলা বিএনপি একাদিক নেতাকর্মী আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন আমলে শেরপুরে অনেক স্থানীয় বিএনপি প্রভাবশালী নেতা ও অসংখ্য পরিবার আওয়ামী লীগের স্বাধ গ্রহণ করেই শেরপুরের বিএপিকে কোনঠাসা বানিয়ে রেখেছে।
 
যদিও বিএনপি আরেকটি  অংশ বলেন শেরপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং যাদের কথায় বিএনপি নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে সক্রিয় থাকতো,মরহুম খন্দকার আব্দুল হামিদ ডা. সিরাজুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরী,  এডভোকেট সাইফুল ইসলাম কালাম, আব্দুর রাজ্জাক আশিষ এবং মধ্যম শারীর অনেক নেতাও  প্রয়াত হওয়াই  শেরপুরের বিএনপিকে শক্ত হাতে রক্ষণাবেক্ষণ করতেন জেলা বিএনপি সভাপতি শেরপুর শ্রীবর্দী ও ঝিনাইগাতী আসনের সাবেক এমপি  মাহমুদুল হক রুবেল।

জেলা সদরে ( বিএনপি) ক্ষমতায় থাকা এক সময়ে বিএনপি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রক খলিফা নামে খেতাব পাওয়া প্রভাবশালী নেতারা যখন আওয়ামী লীগের স্বাধ গ্রহণ করে বিভিন্ন লাভ জনক পদ-পদবী নিয়ে চুপ থাকে এবং বিএনপি অভিবাবক  শূণ্য হয়ে পরায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পরে দলের নেতাকর্মী। কিন্তু মাঝপথে শেরপুরের বিএনপিতে মো. হযরত আলী নামে একজন শিল্পপতি দলের হাল ধরেন। তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হন এবং বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনকে নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ চাঙ্গা করেন। সক্রিয় হয় শেরপুরের জেলা বিএনপি।

শেরপুর জেলা বিএনপি এক নেতা বলেন, হযরত আলী শেরপুরের বিএনপিকে মাঠ পর্যায়ে চাঙ্গা করলেও আওয়ামী লীগের স্বাধ গ্রহণ করা বিএনপির নেতারা তা সহজে মেনে নেয় না এবং হযরত আলী ও তার ঘরনার নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নাশকতা, বিস্ফোরক মামলায় হয়রানীর পিছনে তাদের ইন্দন থাকায়  ছত্রভঙ্গ এবং কোনো ঠাসা করে ফেলে তাকে। 

গত ২০১৮ সালের জাতীয়  নির্বাচনের সময় হযরত আলী জেলে থাকায়  ধানের শীষের মনোনয়ন পান তার কন্যা একেবারেই নতুন মুখ ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রাথী হিসেবে নির্বাচনে প্রিয়াংকা ধানের শীষ মার্কা ও তৎকালিন জেলে থাকা বাবার ইমোশন কাজে লাগিয়ে বেশ সাড়া ফেললেও নির্বাচন পরবর্তি প্রিয়াংকাকে আর  মাঠে  দেখা যায়নি তাকে। এবারও যদি হযরত আলী নির্বাচনের আগে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না হলে মনোনয়ন নিশ্চিত হযরত আলীর।

শেরপুরের বিএনপি সাধারণ মানুষ বলছে, নির্বাচন নিরপেক্ষ অবাধ সুষ্ঠ হলে হুইপ আতিউর রহমান আতিক নৌকা এবং হযরত আলী ধানের শীষ হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হতে পারে । হযরত আলীই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মনোনয়ন পাবে বলে নিশ্চিত অভিমত প্রকাশ করেন। 

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা যুদবলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ব্যাপক প্রতিকূলতার মধ্যেও উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক ভোট পান। তখন থেকেই দলের একটি শক্তিশালী অংশ মাসুদকে নিয়ে সদর আসনে মনোনয়ন যুদ্ধে আছেন।শফিকুল ইসলাম মাসুদ গত ১৫ বছরে প্রায় ডজন খানিক মামলায় জেল জুলুম এর পরও শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কর্মী বেশষ্ঠিত মাঠ থেকে সরে যায়নি। তিনিও শেরপুর -১ আসনে বিএন পি থেকে মনোনয়ন পাবেন বলেও নিশ্চিত করেন। 

শেরপুরে জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ এর  যুদ্ধপরাধী মৃত্যু দণ্ডে দণ্ডিত মো. কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফিও আলোচনায় আছে।

এখানের জাতীয় পার্টীর একমাত্র কান্ডারি জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ মো. ইলিয়াছ উদ্দিন মাঠেই আছেন এবং জাসদ থেকে জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন আলোচনায় আছেন।

প্রতিনিধি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়