শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০৪:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২৩, ০১:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘পিটার হাসের আমন্ত্রণে গিয়েছি, বিএনপির মতো পদলেহন করতে নয়’

ড. হাছান মাহমুদ

আনিস তপন: বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল তার বাসায় গিয়েছিল। তবে বিএনপির মতো পদলেহন করতে আমরা গিয়ে রাত-বিরাতে সেখানে বসে থাকি না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। এতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই নাকি কূটনৈতিকদের বাসায় ধরনা দেয়। তাহলে আওয়ামী লীগ নেতারা কেন গেল?

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে দরের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গেছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো তো রাত-বিরেতে গিয়ে ধরনা দেয় না। 

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। গত ৫১ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তাদের অবদান আছে। নিরাপত্তা থেকে জঙ্গি দমনে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। বহুমাত্রিক সহযোগিতা রয়েছে তাদের সঙ্গে। সেই দেশের রাষ্ট্রদূত যখন আমন্ত্রণ জানান, সেখানে তো যেতেই হয়। সেজন্যই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। তাদের মতো রাত-বিরেতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেউ পদলেহন করে না।

এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রদফতরের দেয়া মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদন একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কারণে এ প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা এ আন্দোলন করেছে। ২০১৪ সালে তাদের আন্দোলনের নমুনা দেখেছি। যখন বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে, তখন পেট্রোল বোমার কথা মনে পড়ে, তখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসবের কথা মনে পড়ে। তাদের সেই কাজ আবার বাংলাদেশের মানুষ করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কখনও ফিরে আসবে না।

দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিএনপি সরকারের আমলের সব অর্জন ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংকট বিএনপিতে, দেশে নয়। কারণ তাদের চেয়ারপারসন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক। তারপর তাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। আবার অনেকেই আছেন, যারা মির্জা ফখরুলের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তো ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বিএনপি। এভাবে যদি তিনি বলতেন তবে এটি সঠিক হত। 

বিএনপি’র অপর এক অভিযোগের বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, বিএনপির অর্জন আমরা ধ্বংস করেছি, সেটি সঠিক। তারা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দেশ সেখান থেকে সরে এসেছে। তাদের অর্জন হচ্ছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা, তাদের সৃষ্টি হচ্ছে শায়খ আবদুর রহমান। সেগুলো এখন এদেশে নেই। সেই বিচারে বিএনপির এসব অর্জন ধ্বংস হয়েছে।

বিএনপির এসব অর্জন ধ্বংস করতেই বর্তমান সরকার কাজ করছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেছে। যা আজ সমগ্র বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকার করে নিয়েছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বক্তৃতা দেয়া হয়। পাকিস্তানের টেলিভিশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার ঝড় বয়। তাদের নিজেদের সমালোচনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার প্রশংসার ঝড় ওঠে।

তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া বলেন, মহান বিজয় দিবস ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়ে এ সংকলন করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তার মোড়ক উন্মোচন করা হলো। অধিদপ্তর নিয়মিত এ ধরনের সংকলন বের করে থাকে। দেশে এ ধরনের শ্রেণির দিবস আছে তেরোটি। এসব দিবসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের লেখা ক্রোড়পত্রে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বি-শ্রেণির দিবস আছে ৩৩টি, সি-ক্যাটাগরির দিবস আছে ৩৪টি। এ দিবসে ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত লেখাগুলো যাতে কালের গর্ভে হারিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই সরকার এই সংকলন বের করেছে।

এটি/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়