রিয়াদ হাসান: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, এটা কি চিন্তা করা যায়? কোনো সভ্য গণতন্ত্রীয় দেশে একটি গণতান্ত্রিক দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়? এটাকে কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায়? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে। সেটা পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া। আজকের এই সংকট উত্তরণে শুধু বিএনপির দায়িত্ব নয়। এটা সব রাজনৈতিক দলের সব মানুষের দায়িত্ব।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মতিঝিলে হোটেল পূর্বানী হল রুমে ‘কর্তৃত্ববাদের উত্থান ও বিপন্ন গণতন্ত্র’ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
তিনি বলেন, আমাদের ১০ দফায় পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। কারণ এ সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ নয়। ২০১৪ ও ১৮ সালে কিভাবে নির্বাচন হয়েছে? সেটা আপনারা জানেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সকল দলের রাজনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট তৈরি করতে হবে। তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সে নির্বাচন কমিশন নতুন করে নির্বাচন ব্যবস্থা করবে। সে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট হবে নতুন সরকার গঠন করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাঝে মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী নির্বাচনে আসবেন না, আপনারা নাকি ৮০ সিট নিয়ে আলোচনা করছেন, পাচ্ছেন? কীভাবে নির্বাচন ব্যাবস্থা ধ্বংস করেছে। আচ্ছা বলেন তো, সিট দেয়ার মালিক কে? দেশের জনগণ ছাড়া কি কেউ এ মালিক, জনগণ ছাড়া তো কাউকে দেখি না।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাক্তার মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আজকে দেশের মানুষ যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, এখান থেকে মুক্তির একমাত্র পথ, বিএনপির ১০ দফার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাক্তার মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ডক্টর মো. এমতাজ হোসেন সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম, জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর এম সলিমুল্লাহ খান প্রমুখ।
আরএইচ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :