মো: জালাল উদ্দিন: মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়াসহ অন্যান্য আরও ৪ নেতৃবৃন্দকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার একদিনের রেমান্ড শেষে পুলিশ তাদের মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে তুললে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন মৌলভীবাজার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির আহমদ শাফিন,জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল চৌধুরী ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সাব্বির আহমদ।
জানা যায়,গত ১৩ নভেম্বর জেলা শহরের চৌমহনা এলাকায় দুপুরে সিলেট বিভাগীয় ১৯ শে নভেম্বর বিএনপি'র সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান এর নেতৃত্বে সিলেট গণসমাবেশের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণকালে হঠাৎ ডিবি পুলিশের একটি দল ঝটিকা অভিযান চালিয়ে রুবেলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে গত ১৫ নভেম্বর তাদের জামিনের জন্য আবেদন করা হয় কিন্তু জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে গত ১৭ নভেম্বর পুলিশ তাদের ৫ দিনের রিমান্ড এর আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
গত সোমবার ২১ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি শেষে সি ডাব্লিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গত মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর মৌলভীবাজার মডেল থানায় একদিনের রিমান্ডে নেওয় হয়। পরবর্তীতে মৌলভীবাজার মডেল থানা ২৩ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি'র সাধারন সম্পাদক ও জেলা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রচারপত্র বিলিকালে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। সিলেটে বিএনপির ১৯ নভেম্বরের সমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশ তাদের আটক করে বলে তিনি জানান। তিনি অবিলম্বে জেলা ছাত্র দলের সভাপতি সহ সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি করেন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মৌলভীবাজার জেলা শাখা পক্ষ থেকে, মামলা ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে তাহাদের নিঃশর্তে মুক্তি দাবি জানাই।
প্রতিনিধি/এমএএস
আপনার মতামত লিখুন :