সালেহ্ বিপ্লব: নালিশ করে দিশা না পেয়ে বিএনপি এখন মাথা খারাপ পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাসস
ড. হাছান বলেন, র্যাবের কয়েকজন সদস্য ও পুলিশ প্রধানের ওপর একটি মার্কিন সংস্থার নিষেধাজ্ঞায় বিএনপি নেতারা বর্ষাকালে পুঁটিমাছের মতো লাফিয়েছেন। কিন্তু এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর বিশ্বনেতাদের পাশে বসে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈঠক করতে দেখে, তাদের লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আগে বিএনপি নেতারা দিনের বেলা বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করে বেড়াতো, আর রাতের বেলা বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধর্ণা দিতো। সেই নালিশ পার্টি এখন মাথা খারাপ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের নামে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, আর পুলিশের ওপর হামলা করে। ক’দিন আগেও মুন্সিগঞ্জে তারা পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর, সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সেই ঘোষণা প্রচার করা হয়। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ঘোষণা করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান সেই কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে দিয়ে ঘোষণা পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানরত মেজর রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান যে, তিনি এমবুশে আছেন, সেখান থেকে সরে এলে যুদ্ধের ক্ষতি হবে এবং তিনি কাছাকাছি থাকা মেজর জিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা বোয়ালখালীর পাহাড় থেকে তখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এসে ২৭শে মার্চ বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। প্রথমে জিয়া ভুল পড়েন, পরে বঙ্গবন্ধুর নামে ঠিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ, কারণ বঙ্গবন্ধু এই দিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আর জিয়াকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করানো হয় ২৭শে মার্চ। আজকে বিএনপির যারা বলার চেষ্টা করেন যে জিয়া হুইসেল বাজিয়েছেন আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, তারা জাতির সাথে মশকরা করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই।
সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ শামছুল আলম হিরু। উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। প্রধান অতিথি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে অংশ নেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে আবু বকর সিদ্দিককে সভাপতি ও মোজাম্মেল হক মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :