শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৭:৫২ বিকাল
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৭:৫২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দমন-পীড়ন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবেনা: নজরুল ইসলাম

বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান

শাখাওয়াত মুকুল: বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান দমন করেছিল। তিনি ক্ষমতায় টিকতে পারেন নাই। এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে পারেন নাই। আপনারাও পারবেন না। এটাই ইতিহাস। 

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় তিনি বলেন, এই সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশে চার কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। জনগণের সরকার নাই বলেই দারিদ্র্য বেড়েছে। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করছি সেই ৪ কোটি দরিদ্র মানুষের জন্য। এজন্য আপনারা গুলি করে মারছেন আমাদের। নেতা কর্মীদের গুলি করে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। 

নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন আপনারা। এরপর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৮২ সালে এরশাদ একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সেই গণতন্ত্র উদ্ধার করেছিল।

২০০১ সালেও খালেদা জিয়া গণতন্ত্র উদ্ধার করে ক্ষমতায় এসেছেন। খালেদা জিয়া কথা দিয়েছেন, কথা রেখেছেন। এবারও আপনারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। তারেক রহমানর নেতৃত্বে আবারও আমরা গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্টা করবো। ইতিহাস বলে গণতন্ত্র উদ্ধার করে বিএনপি। তাই লড়াই করতে হবে। রাজপথে লড়তে হবে। এই লড়াইয়ে বিজয় হবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, অত্যাচার নিপিড়নের কারণে আজ পুলিশ বাহিনীও সত্য কথা বলতে পারেনা। আলেম ওলামারাও ভয় পায়, প্রশাসনের সবাই ভয় পায়। গত নির্বাচনের সময় পুলিশ আমাদের নির্বাচন করতে দেয় নাই। গায়েবি মামলা দিয়েছে পুলিশ। আপনারা আল্লাহকে ভয় পান। হাসিনাকে ভয় পেয়ে লাভ নাই। 

তিনি বলেন, সন্ত্রাস কারা করছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কারা বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ করছে, আওয়ামী লীগ করছে। আজ আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস করছে। ক্ষমতা থেকে নামানোর আগে বিএনপির কোন নেতা কর্মী ঘরে ফিরে যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে কোন মানুষ শান্তিতে নাই। সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। আজ গ্যাস নাই, পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই। এই হল আপনাদের উন্নয়ন। জনগণের উন্নয়ন হয় নাই। তাই নির্বাচনে ভয় পায়। আপনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। আপনারা বলেন বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। তাহলে ভয় পান কেন। ভয় পায় এজন্য তারা এখন জনগণের শত্রু। জনগণ তাদের চায় না আর। এসময় ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে উপস্থিত জনতাকে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন, আর সময় নাই। এই জেল আর জেল থাকবেনা। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমকে গুম করেছে। আমাদের চারজন নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যাকাণ্ডের জন্য আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হবে। 

আমান বলেন, বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের লড়াই করেছিল বেগম খালেদা জিয়া। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশে আরেকটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন বলেন, স্বাধীন দেশে আমরা পরাধীন। যে দেশে আমরা স্বাধীন করেছি। সে দেশ আজ পরাধীন। এদেশে আজ ন্যয় বিচার নাই। পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা করেছেন। জনগণ এটা সহ্য করবেনা। একদফা এক দাবি। নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বঅচন হতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হবেনা। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ও তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়