রিয়াদ হাসান: [২.১] জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, লোহার খাঁচা হিংস্রতার প্রতীক। এটা শুধুমাত্র হিংস্র পশুর বেলায় ব্যবহার করা হয়। কোনোক্রমেই এটা মানুষের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[২.২] আদালত কোনো চিড়িয়াখানা নয়, আদালত হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠান। সুতরাং মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের আদালতে লোহার খাঁচা সংরক্ষণ করা মুক্তিযুদ্ধের কলঙ্ক হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে।
[৩] বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদালত থেকে লোহার খাঁচা দ্রুত অপসারণের দাবি করে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
[৪.১] তারা বলেন, সরকার ভিন্ন মত-পথকে স্তব্ধ করার মাধ্যমে ভয়ঙ্কর ভয়-ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশলে আদালতে লোহার খাঁচা প্রতিস্থাপন করেছে। এটা জাতির বুকে রক্তক্ষরণের নামান্তর।
[৪.২] লোহার খাঁচা সরকারের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে এবং সরকারের স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে। লোহার খাঁচার অমর্যাদার অগ্নি থেকে বাংলাদেশের গৌরব ড. মুহাম্মদ ইউনূস পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আদালতে হাজার-হাজার মানুষকে অমর্যাদার ভয়ঙ্করতায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
[৫] নেতৃদ্বয় বলেন, লোহার খাঁচার ব্যবহার মুক্তিসংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে চরম সাংঘর্ষিক। মানুষের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে অতি দ্রুত সকল আদালত থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করে এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে হবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরএইচ/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :