শাহানুজ্জামান টিটু: [২] তিনি বলেন, শুধু অর্থনীতির বিষয়ে কথা বললে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে রাজনীতির বিষয়টা সবচেয়ে বড়। রাজনীতি ঠিক না হলো অর্থনীতি ঠিক হবে না। সিদ্ধান্ত যদি সঠিক না হয় অর্থনীতি ঠিক হবে না। রাজনীতিটা মেইন।
[৩] শনিবার দুপুরে গ্রন্থ প্রকাশনার অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান অবস্থার প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহফুজ উল্লাহ‘র লেখা আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘আমার জীবন আমার সংগ্রাম’ এর প্রকাশনা উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়। ৫৯২ পৃষ্ঠার গ্রস্থটির প্রকাশ করেছে ‘বাঙ্গালা গবেষণা’।
[৪] সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির এই টেকনিক্যাল কথা-বার্তা হলো গ্রোথ রেইট ৫ পয়েন্ট ৫ হলো না ৫ পয়েন্ট ৭ হলো, তারপরে ইনফুয়েশন ৮ দশমিক ২ হলো না ৮ দশমিক ৩ হল, এগুলো ভেতরে কচকচালি করলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। মূল সমস্যা আমাদের ইন্সটিটিউশনগুলো ধবংস হয়ে গেছে, রাজনীতিটাও অনেকটা ধবংসের পথে এবং সেখানে অর্থনীতি কিভাবে ঠিক থাকবে?
[৫] তিনি বলেন, যে রাজনীতিতে ছাত্র জীবন পজেটিভ রাজনীতি, ভালো রাজনীতি, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি যদি না করেন তবে কিন্তু ভবিষ্যতে ভালো মানুষও হবেন না। ভ্যালুজ কিছু থাকতে হয়। আমাদের সময়ে কিছু ভ্যালুজ ছিলো। আমার বন্ধু আলমগীর(বিএনপি মহাসচিব)ও সৎভাবে জীবন-যাপন করেছেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে ভ্যালুজগুলো বারে বারে তাড়া করত। এখনো আমাদেরকে এটা তাড়িত করে। মানুষের জন্য চিন্তা এসব চিন্তার জন্য এখনো আমাদের তাড়িত করে।
[৬] অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে আলোচনা শুনেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, নাজমুল হক নান্নু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[৭] অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর ছোট ভাই প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর ৫ মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনটি উপলক্ষ্যে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান।
[৮] অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘‘ দেশ আজকে একটা কঠিন সংকটে পড়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণ কিভাবে হবে সেটা নিসেন্দেহে ৮/১০টা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দেখে আমরা নিরুপণ করতে পারব না। আমাদেরকেই আমাদের পথ চয়ন করতে হবে, নিরুপন করতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে এবং এজন্য প্রয়োজন ঘটনাটা বলি ১৯০৫ সালে রাশিয়াতে যে পাঠ্য বিপ্লব হয় সেই পাঠ্য বিপ্লবের পরে লেলিন বলেছিলেন, এখন প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে ঢুকেও আমাদেরকে কাজ করতে হবে। ওই সময়ের জন্য ওটা ছিলো একটা মোক্ষম একটা কৌশল যে কারণে ১৯১৭ সাল(রুশ বিপ্লব) হতে পেরেছে। এগুলো আমাদের বুঝতে হবে।”
[৯] সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘‘ মাহবুব উল্লাহ ভাইয়ের বইটি একটা রাজনৈতিক দলিল এই দলিলে যেটা অফিশিয়াল হিস্ট্রি অব ইস্ট পাকিস্তান ডিরেল ইস্ট পাকিস্তান সেই অফিশিয়াল হিস্ট্রি থেকে এই ইতিহাস কত যে ভিন্ন মানে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাংখা এই বইতে আছে। আমি মনে করি এই বইটা লেখকের একটা বিরাট অবদান। সবাই বইটি পড়বেন।”
[১০] কবি আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নারী নেত্রী শিরিন হক, নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান এবং বাঙ্গালা গবেষণা‘র প্রকাশক আফজালুল বাসার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :