শিরোনাম
◈ গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল, সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাইরে থাকার অনুমতি ◈ সেপ্টেম্বরে নেপা‌লের বিরু‌দ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, হামজা ও সামিতকে দ‌লে পাওয়ার সম্ভাবনা কম ◈ জুলাই যোদ্ধা নারীরা নতুন যুদ্ধের মুখোমুখি ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৭ মে, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে শহর হতে পারে ঢাকার বিকল্প রাজধানী? এআই যা বলছে

ঢাকার অতিরিক্ত জনসংখ্যা, যানজট, বায়ু দূষণ, এবং অন্যান্য সমস্যা আজকাল প্রকট হয়ে উঠেছে। জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, যার ফলে নগরীটি যেন এক বিশাল জনবহুল এলাকা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় মানুষের চলাচলের সমস্যা, নিরাপত্তা, সুপেয় পানি এবং বাসস্থানের সংকট দিন দিন বাড়ছে। এসব কারণে ঢাকা এখন একটি 'হট স্পট' হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বসবাস করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। তাই, অনেক বিশেষজ্ঞ এবং নীতি নির্ধারক এই প্রশ্ন তুলছেন— "ঢাকার বিকল্প রাজধানী কোথায় হতে পারে?"

এআই, যা বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে, সে বিষয়েও প্রাসঙ্গিক মতামত দিতে শুরু করেছে। এর মাধ্যমে কিছু শহরের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ঢাকার মতো চাপ সৃষ্টি না হয় এবং দেশের উন্নয়ন আরও সুষ্ঠুভাবে হতে পারে।

এআই এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিকল্প রাজধানী হতে পারে এমন শহরগুলোকে তিনটি প্রধান দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে— নাগরিক সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং পরিবেশগত মানদণ্ড।

১. চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বাংলাদেশে অন্যতম বাণিজ্যিক শহর। এটি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে পরিচিত এবং একটি বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্রও। ঢাকার তুলনায় এখানকার জনসংখ্যা কম হলেও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো, বিশেষত মহাসড়ক এবং রেলপথের মাধ্যমে। এছাড়াও, চট্টগ্রামের জলবায়ু ঢাকার চেয়ে অনেকটাই ভালো এবং এটি একটি উন্মুক্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি হওয়ায় আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে সুখকর।

এআই অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ শহর হিসেবে ঢাকার বিকল্প হতে পারে, কারণ এখানকার উন্নয়ন সম্ভাবনা এবং ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক পরিকাঠামো এখানে বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, যেহেতু এটি একটি সমুদ্রবন্দর, দেশের বাইরের সাথে যোগাযোগের সুবিধাও রয়েছে, যা দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

২. রাজশাহী : রাজশাহী এক সময় বাংলাদেশের শিক্ষার কেন্দ্রীভূত শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। এখানে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে রাজশাহীর বিশেষত্ব হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদী-নালার সৌন্দর্য। এর জলবায়ু ঢাকার তুলনায় বেশ উপযোগী এবং এটি পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে পরিচিত।

এআই এর মতে, রাজশাহী শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে, যা ঢাকার অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রাজশাহী তার কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এ শহরের মাধ্যমে দেশের কৃষি ও শিল্পখাতের উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজশাহীর উন্নতি দেশের ভবিষ্যত উন্নতির দিকে সহায়ক হতে পারে।

৩. সিলেট : সিলেট একটি প্রাকৃতিক শহর যা পাহাড় এবং হাওরের সৌন্দর্যে ভরপুর। এটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এখানকার পরিবেশ ঢাকার তুলনায় অনেকটাই ভালো। সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর উঁচু এলাকা, যা ভূমি ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। পাশাপাশি, সিলেট আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, কারণ এটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় ভারত, মিয়ানমার সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সহজ যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব।

এআই এর বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে, সিলেটের উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ হলে এটি ঢাকার বিকল্প হতে পারে, কারণ এটি একটি শান্তিপূর্ণ শহর হওয়ায় বসবাসের জন্য আরও সুবিধাজনক হতে পারে।

৪. খুলনা : খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর, যেখানে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি এবং শক্তিশালী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত। এটি দেশের অন্যতম প্রধান বন্দর হিসেবে পরিচিত এবং এখানকার পরিবেশ অনেকটাই উন্নত। খুলনার কাছাকাছি রয়েছে সুন্দরবন, যা পরিবেশগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এআই এর মতে, খুলনা শহরের দ্রুত নগরায়ণ এবং উন্নয়ন, তা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এখানকার শিল্প খাত এবং বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়ন দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি করতে পারে, যা ঢাকার ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য সহায়ক হবে।

৫. বরিশাল : বরিশাল একটি উন্নত এবং শান্তিপূর্ণ শহর। যদিও এটি দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে, তবে বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হাওর অঞ্চলের বিস্তৃতি, এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এটির বিকাশের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বরিশাল উপকূলীয় শহর হওয়ায় এটি সামুদ্রিক পরিবহণ এবং পর্যটন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এআই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বরিশালের জলবায়ু, কৃষি খাতের গুরুত্ব, এবং সম্ভাব্য শিল্প খাতের উন্নতি এটিকে বিকল্প রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কার্যকরী শহর হতে পারে।

ঢাকার বিকল্প রাজধানী কোথায় হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। তবে, এআই-এর বিশ্লেষণ থেকে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা এবং বরিশাল এই শহরগুলির মধ্যে বিশেষ কিছু শক্তি রয়েছে, যা এগুলোকে ঢাকার বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে সহায়ক হতে পারে। এর মধ্যে কোনো একটি শহর যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন হয়, তবে এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনসংখ্যার চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারবে। উৎস: জনকণ্ঠ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়