দীপ আজাদ: বাংলাদেশের বয়স ৫২ বছর। এই ৫২ বছরে যদি ভুল না করে থাকি। তবে ৩ জন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়েছে। রাজনৈতিক দলের অলিগলির কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনে কেউই পিছিয়ে নেই। গত এক দশকে কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্তার কল্যাণে বিনোদন জগতের কারো কারো দাপট দেখার মতো। সম্প্রতি এক নায়িকার কারণে পুলিশের এক কর্তাকে তো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে তাদের যাতায়াত যতো সহজ, ততোটা বোধহয় আর কোনো পেশার কারো নেই। সাংবাদিকদের তো নয়ই।
যেভাবে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে হুমকি দিচ্ছেন, তাতে একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে আমি মোটেই অবাক হইনি। কারণ তাদের দাপট গত এক দশকে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাংলাদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোকে সাংবাদিকতা শেখাতে কোনো কোনো রাজনীতিক ও পুলিশ হার্ভার্ডের প্রফেসরের ভূমিকায় নেমে পড়েন। এবার সেই তালিকায় বিনোদন জগতের কেউ কেউ যোগ দিয়েছেন। কোনো ভুল বা মিথ্যা সংবাদের কারণে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকারের নানা বৈধ উপায় আছে। অপ-সাংবাদিকতার পাশে আমরা নেই। তেমনই হুমকি ধামকির সাথেও নেই। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে বলছি, আর যাই হোক সাংবাদিকতা আপনাদের কাছ থেকে শিখবো না। হুমকি-ধামকি দেবেন সব কলম একসাথে সরব হবে। কলমেই জবাব দেবো। পেশাদার সাংবাদিক সমাজের জয় হোক। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুকে ২১-১১-২৩ প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :