ব্রাত্য রাইসু: আপনি কী চিনবেন আর কী চিনবেন না সেইটা যেমন সরকার আইসা ঠিক করবে না, তেমনি পাবলিকেরও তা ঠিক করার বিষয় না। আপনি নিজেই নির্ধারণ করবেন কী আপনি চিনেন, আর কী চিনবেন না। নাম জানেন, দেখছেন, তার লেখাও পড়ছেন তার মানে এই না যে আপনি তারে চিনেন বা চিনছেন। ধরেন আপনি বিমানে কইরা সিঙ্গাপুর যাইতেছেন। বিমানবালা আইসা আপনেরে খাওয়া দিতেছে, পাইলট সাব আপনারে হাই বলতেছে, পাশের সিটের যাত্রী আপনার লগে কথা কইতেছে, তারপরেও তাগোরে আপনার চিনা লাগতেছে না।
জগৎ এই রকমই। যখন কাউরে চিনতে বাধ্য করা হয়, তা আপনার রাজনৈতিক পরাজয়। যে কারণে আগে চিনতাম এমন কতো কাউরেই আমি পরে আর চিনি না। তো? [২] তো আমার এই ‘চিনি না’ প্রত্যয়খানি সেলিব্রিটি পূজা বা ব্যক্তিবন্দনার জগতে একটা প্রতিরোধ হিসাবে খাড়া হইতে যাইতেছে। আপনিও ‘চিনি না’ বলতে শিখেন। রাজনৈতিক সত্যের চাইতে বড় কোনো সত্য নেই। যে সত্য অন্যের ক্ষমতার কারণে আপনি উচ্চারণ করতে বাধ্য, তা কোনো সত্য না, ওইটা স্বীকার। আপনার নিজের অনিচ্ছা ও অনধিকারের সত্য আপনারে বন্দি করে মাত্র। সেই সত্য আপনি কার কাছে বলবেন, কেন? কাজেই না চিনতে শিখেন। বলেন ‘চিনি না’। লেখক : কবি