শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুচির দুর্ভিক্ষ, না সংস্কৃতির সংকট?

সাঈদ তারেক

সাঈদ তারেক: সাড়ে পাঁচ দশকের উপর সম্পর্ক মঞ্চ আর অভিনয়শিল্পের সঙ্গে। সে সব দিনের কথা বাদ দিলে গত আড়াই তিন দশক ধরে যা দেখছি, তাতে একটা ধারণা জন্মেছে বাংলাদেশের নাট্য বা অভিনয়শিল্পীদের সম্পর্কে। এদের মূলত তিনটি ভাগ। এক. অভিনয় শিল্পী। এরা অভিনয়ে নিবেদিত অন্তপ্রাণ। অভিনয় কারও শখ কারও নেশা। শুধুই টাকার জন্য অভিনয় করেন না, চরিত্র ভালো লাগলে যেকোনো টাকায় অথবা বিনা টাকায় যত্ন নিয়ে হাসিমুখে অভিনয় করে দিয়ে আসেন। টাকা নিয়ে কোনো খ্যাচাখেচি করেন না বা ‘ক্ষ্যাপ’ পেলেই দৌড় দেন না। দুই. অভিনয় কামলা। মূলত: অভিনয়ই যাদের জীবিকার উৎস। চরিত্রের বাছবিচারের চাইতে যাদের অনেকের কাছে টাকাটাই মুখ্য। অধিকাংশই টাকা পেলে যেকোনো চরিত্রে কাজ করতে রাজি। দিনমজুরদের মতো এই শ্রেণির অভিনেতারা দিনচুক্তিতে কাজ করেন। কাজ শেষে নগদে মজুরি নিয়ে ঘরে ফেরেন, কোনো বাকির কারবার নেই।

তিন. অভিনয় দাস। এই শ্রেণির অভিনেতারা মূলত: মঞ্চশিল্পী। এরা বিভিন্ন গ্রুপথিয়েটার বা নাট্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। খুব সুন্দর একটা নাম আছে এদের-মঞ্চকর্মী। অভিনয় এদের নেশা। কেন এই নেশা তা অনেকে নিজেও জানেন না।

নিজের খেয়ে নিজের সময় আর পকেটের টাকা খরচা করে রিয়ার্সালে আসেন, গ্রুপের যাবতীয় কাজ নিজহাতে করেন, দেরী করে এলে পরিচালকের ঝারি খান এবং এমত কঠোর অনুশাসনের মধ্য দিয়ে শিল্পের সেবা করে যান। এতকিছু করে কারও ভাগ্যে ছোটখাট চরিত্র জোটে বা কারও জায়গা হয় টেকনিক্যাল টিমে। এরা হচ্ছে ‘অভিনয় দাস’ (কথাটা কাউকে ছোট বা কারও প্রতি অসম্মান করে নয়, এমন দাস একসময় আমি নিজেও ছিলাম)। এই সমস্ত গ্রুপে এক বা একাধিক ভাই, ভাইয়া, স্যার বস বা গুরু থাকেন, এই গুরুরা গ্রুপের কর্ণধার এবং একসময় দেখা যায় এইসমস্ত ভাইয়া স্যার বা গুরুরা ‘দাস’দের কাঁধে পা রেখে উপরে উঠে গেছেন। কেউ হয়ে যান স্টার কেউ সেলিব্রেটি বা শিল্পাঙ্গনের নেতা হর্তাকর্তা কেউকেটা। ‘দাস’রা যতদিন দমে কুলায় ঘানি টেনে এক সময় ক্লান্ত হন। ফিরে আসেন নিজের চেতনায়।

একসময় অনেকে আসতেন মঞ্চে কাজ শিখে পর্দায় যাওয়ার পথ করে নিতে। এখন বেশ কিছুকাল ধরে গ্রুপগুলো মঞ্চকর্মী সংকটে ভুগছে। মোবাইলে ক্যামেরা আর সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও কন্টেন্টের জন্য টাকা দেওয়া শুরু করলে মঞ্চের প্রতি অনেকের আকর্ষণ কমে যায়। ডাইরেক্ট ক্যামেরার সামনে।

ফলে নাটক বা শিল্পের নামে যা হবার তাই হচ্ছে। আজ কথা উঠছে রুচির দুর্ভিক্ষের। কিন্তু এ শুধু রুচিরই সংকট, না আমাদের সংস্কৃতির সংকট। কেন এ সংকট তার কারণগুলোও সামনে আসা উচিত। কেন এই দৈন্যতা কেন এই অবস্থা, কারা দায়ী এর জন্য চিহ্নিত করে প্রতিকারের পথে না এগিয়ে শুধু শুধু ব্যক্তিবিশেষকে চিহ্নিত করা নিতান্তই হাস্যকর এবং অর্থহীন। বিশ্বনাট্য দিবসে সকল নাট্যকর্মীকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়