শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১২:১৬ রাত
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বতার সেই দিনটি

রবিউল আলম

রবিউল আলম: পাকিস্তানের শোষণ, বৈষম্য বাঙালি জাতির মুক্তি সময়ের দাবি হয়ে ওঠে। বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর হীনমন্যতা, আগ্রাসন বাঙালি নিজেদের স্বার্থ ভুলে শ্রেণি সংগ্রামকে তরান্বিত করে। মওলানা ভাসানীসহ অনেক নেতা বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, আপোসকামিতা ও ভীরুতার জন্য লক্ষ্য অর্জনে বারবার বাধা হয়েছে। সত্তরের নির্বাচনে মতপার্থক্য ছিলো। শত বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পূর্বশর্ত জনগণের রায়ের জন্য পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলার মানুষের নিরষ্কুষ সমর্থনে নৌকার বিজয়, ছয় দফাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গণমানুষের হৃদয় জয় করতে পারলে রাজনীতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। সত্তরের নির্বাচন থেকে বর্তমান রাজনীতিবিদের অনেক বিষয় শেখার আছে। মানুষকে জয় করতে না পারলে কোনো সরকারই আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, জনসমর্থন ছাড়া, বন্দুকের নলে অনেকে চেয়ারে বসে ছিলেন, আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, কারও পরিণতি বাঙালির অজানা নয়। উত্তাল মার্চ, বাঙালির আগুন রূপ ধারণ করলে, উত্তাল হয়ে  উঠেছিলো।  

নির্বাচনের ফলাফল, ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম একসময় সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাটাসুর মোহাম্মদপুর থেকে বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো। পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদ স্থগিত করা হলে ৩ মার্চ থেকে বাংলার ঘরে ঘরে স্বাধীন বাংলার পতাক উত্তলন করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জনক স্বাধীনতার রূপরেখা ঘোষণা করলেন। ৮ মার্চ থেকে রাজপথ দখলে নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে পালানোর নির্দেশনা দিয়ে দিলেন। মানবপ্রেমিক শেখ মুজিব এক আজব নির্দেশনায় বিশ্ব অবাক হয়েছিলো। রিকশা, ঠেলাগাড়ি চলবে, শিল্পের মালিকরা ২৮ তারিখে আমার শ্রমিকের মায়নাপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আমি যা বলি, তাই করতে হবে। একপয়সাও পশ্চিম পাকিস্তানের পাচার হতে পারবে না। আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ২৫ মার্চে কালো রাতে, কাপুরুষের দল ঘুমন্ত বাঙালির উপর গণহত্যার গুলি চালিয়েছে। বিশ্ব তাবেদার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সপ্তম-নৌবহর পাঠিয়ে সেই গণহত্যাকে সমর্থন যুগিয়েছে। নয় মাসে বাঙালির বাঁশের লাঠি আটকাতে পারেনি, বিশ্ব মোড়ল চীন মার্কিনিরা। 

৯৪ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময় হলো। বারবার সেই ভয়াল ২৫ মার্চ আমাদের সামনে হাজির হয়, চিৎকার করে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। আত্মদানকারীদের আত্মার শান্তির জন্য এখনো জাতিসংঘের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে পারিনি মার্কিনিদের জন্য। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে আমি সেই স্বপ্ন পুরণের আশা দেখছি, সাম্রাজ্যবাদ পশ্চিমাদের পরাজয়, পাকিস্তানিদের অনুশোচনা, গণহত্যা স্বীকৃতি ও বিচারের পথ উন্মুক্ত হবে। শেখ হাসিনার সরকারের জন্য। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়