শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাধা, ঘোড়া এবং পিএইচডি

সুজিত মোস্তফা

সুজিত মোস্তফা: আমার বাবা প্রয়াত আবু হেনা মোস্তফা কামালের মতো উন্মুক্তমনা মানুষকেও দেখেছি পাকিস্তানের ব্যাপারে তার ভীষণ এলার্জি ছিলো। যদিও পাকিস্তানের মেহেদী হাসান, গোলাম আলি, ফারিদা খানম এদের গান তিনি পছন্দ করতেন। কিন্তু বলতেন যে এরা ব্যতিক্রমী। আবার সেই বাবা বাংলা একাডেমির ডিজি থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী আব্দুস সালামের পাঠানো একটি চিঠি পড়ে তার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন বাসায় আমাদের কাছে। তিনি বলেছিলেন, বিশ্বখ্যাত এই লোকটির এমন কোনো ডিগ্রি নেই যা পাওয়া বাকি আছে। অথচ তিনি নীচে তার নাম শুধু আব্দুস সালাম লিখে নাম স্বাক্ষর করেছেন। এখানে তিনি ডক্টর, প্রফেসর, নোবেল লরেট এসবের কিছুই লেখেননি। প্রকৃত শিক্ষিত বোধহয় একেই বলে। 

আব্বা কোনো সময় নামের আগে ডক্টর লিখতেন না। এই বিষয়ে তাকে একদিন জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন, ডক্টর কি আমার বাপের দেওয়া নাম? আজকাল পিএইচডি প্রাপ্তদের বেশির ভাগ নামের আগে ডক্টরেট না লিখলে মনে করেন যে তাদের যেন পরিচয় দেওয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে না। অথচ এই পিএইচডির মধ্যে আজকাল কতো ভেজাল। আমি সংগীতের উপরে একটি পিএইচডি থিসিস পড়ে দেখেছি যে এটির গবেষকের ম্যাট্রিক পরীক্ষাটাও ঠিক মতন পাস করার যোগ্যতা নাই। এই মুহূর্তে পিএইচডি বিষয়টির বড়ই খারাপ অবস্থা চলছে দেশে। কারণ এতবেশি প্লেজিয়ারিজম, এতো বেশি অন্যায়, এতো বেশি তেলমর্দন করে এগুলো হচ্ছে যে মান একদম পড়ে গেছে। ধরে নিতে পারি যে ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে মান ভালো ছিল। অথচ সেই সময় প্রায় ৩৫ বছর আগে বাবার কাছে শোনা একটি গল্প মনে হলে আমি এখনো হাসি। 

অর্থাৎ ওই সময়কার পিএইচডি নিয়েও তার কী রকম অবজারভেশন ছিলো, এই গল্পে তিনি সেটাই প্রকাশ করেছেন। গল্পটা ছিলো এরকম। ফরাসি দেশে এক লোক ঘোড়ায় চড়ে যেতে যেতে রাস্তার পাশে দেখল এক লোক বিশাল সব বই, ফাইলপত্র নিয়ে বসে আছে। তো তাকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ভাই আপনি কি করছেন? লোকটি জবাব দিল আমি পিএইচডি বিক্রি করছি। তিনি বললেন, পিএইচডি আবার বিক্রি হয় নাকি? লোকটি বললো, হ্যাঁ আপনি পাঁচ হাজার ফ্রাঁ দিলে একটি পিএইচডি করতে পারবেন। তিনি কৌতূহলী হয়ে ৫০০০ ফ্রাঁ দিয়ে নিজের জন্য একটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে চলে গেলেন। খানিক দূর যাওয়ার পরে তার মনে হলো যে পাঁচ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে যদি একটি পিএইচডি করাই যায়, তাহলে তিনি তার ঘোড়ার জন্য কেন একটি পিএইচডি নেবেন না? তিনি আবার ঘুরে আসলেন এবং বললেন যে, ভাই আমি আরো ৫ হাজার ফ্রাঁ দিচ্ছি, আমার ঘোড়াকে একটি পিএইচডি দিন। সে লোকটি মুচকি এসে বললো, না না ভাই এটা তো ঘোড়াকে দেওয়া যাবে না, এটা শুধু গাধাদের দেওয়া হয়। এরকম গাধা পিএইচডি প্রাপ্তদের সংখ্যা বোধ হয় দেশে এখন অনেক এবং তারা তাদের নামের আগে ডক্টরেট লিখে বড়ই আনন্দে আছেন বলেই মনে হয়। লেখক: সংগীতশিল্পী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়