শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারেক রহমানের হীনমন্যতা

পারভেজ আলম

পারভেজ আলম: [২] তারেক রহমান খুব সম্ভবত হীনমন্যতায় ভোগেন। অন্তত বহু বছর ধরে তার কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করে তেমনই মনে হইছে। তার আশেপাশে তেমন কোনো স্মার্ট এডভাইজার, পলিসি মেকার বা থিংক ট্যাঙ্ক নাই। যার কারণে দীর্ঘদিন ইউরোপের কেন্দ্রে বসবাস করা সত্ত্বেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার কোনো আন্তর্জাতিক ভূমিকা নাই। এইসব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন বরং বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির সদস্যরা। ওনার মেয়েকে যখন মুরাদ কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলো, সিভিল সোসাইটির লোকেরাই কিন্তু তার বিরুদ্ধে সবচাইতে এফেক্টিভ ভূমিকা পালন করছিল তখন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেই মিসোজিনি আওয়ামী লীগ এতদিন কইরা আসছিল, তাও কিন্তু সিভিল সোসাইটির প্রতিরোধে ইদানীং মুখ থুবড়ে পড়েছে।  

সাধারণত বেশি হীনমন্যতায় ভুগলেই মানুষ নিজের আশেপাশে অযোগ্য ও চামচা কিসিমের লোক রাখে। স্মার্ট লোকেদের ভয় পায় ও চাটার দলদের নিজের আশেপাশে জায়গা দেয়। তো এমন দুর্বল চরিত্রের নেতা দেশের জন্যে ভালো হওয়ার কথা না একবিংশ শতকের এই কঠিন সময়ে। দেখেন, আমি মনে করি না যে তারেক রহমান ঠিক শেখ হাসিনার মতো একজন ইভিল ব্যক্তি হবেন। কিন্তু তার আশেপাশে যদি অযোগ্য, স্টুপিড ও চাটার দল টাইপ লোকেরাই থাকে, তাইলে তাদের দ্বারা যে অনেক ইভিল কাজ হবে না তা কীভাবে বলি? অতীতেও তো তারেকের আশেপাশে ভিড় করা চাটার দল তারেকের ক্ষতি করেছে, বিএনপির ক্ষতি করেছ্এেবং পুরা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ক্ষতি করেছে।

[৩] আমার শ্রদ্ধেয় দুইজন বিএনপি সমর্থক আলাদাভাবে জানাইলেন যে এখন বিএনপির সামন্ততান্ত্রিক চর্চা নিয়া কথা বলার সময় না। দিস ইজ নট দা রাইট টাইম। তাদের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা সহকারেই বলতে চাই যে, আমি আপনাদের সাথে একমত না। দেয়ার ইজ নো বেটার টাইম ফর ডেমোক্রেটিক প্রেক্টিস। আপনারা যদি এখন বলেন, দিস ইজ নট দা রাইট টাইম, তাইলে ক্ষমতায় আসার পরে এই ডিসকোর্সকেই আওয়ামী লীগের ‘বিকল্প নাই’ ডিসকোর্সের বিকল্প বানাইয়া ফেলতে পারেন। এই সম্ভাবনা প্রবল। 

দেখা যাবে যে, দেয়ার ইজ নেভার এনি রাইট টাইম। একটা অনন্ত ‘এখনো সময় হয় নাই’- এর মধ্যে প্রবেশ করব আমরা। গণতন্ত্র তো শ্রেফ ভোট না। এইটা পাঁচ বছরে একবার চর্চা করার জিনিস না। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হইলে বা কায়েম করতে হইলে তার প্র্যাক্টিসও করতে হবে সবসময়ই। এই প্র্যাক্টিসের কোনো ভালো বা খারাপ টাইম নাই। আপনারা এখনই যদি গণতান্ত্রিক সমালোচনা না নিতে পারেন, ক্ষমতায় গেলে কীভাবে সহ্য করবেন? ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়