সিদ্দিক মাহমুদ : ঘর, সংসার করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্ত্রীরা প্রচণ্ড বিরক্ত বোধ করেন। এটা ঠিক যে কিছু স্বামী আছেন, নিজের সুবিধাটুকু আদায় করতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেন স্ত্রীদের ওপর। কিন্তু সবাই না। অধিকাংশ স্বামীই আছেন, যারা অল্পতেই তুষ্ট থাকেন। আপনি যে তাঁর ঘর-সংসার-সন্তান সামলাচ্ছেন, রান্না-বান্না করেন, অফিসে যাওয়ার সময় তাঁর টাইটা ঠিক করে দেন, তাতেই সে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকেন।
হয়তো মুখ ফুটে বলেন না, থ্যাংক ইউ। তরকারীতে ঝাল-নুন বেশি হলে কোনো মতামত না করে খেয়ে নেন। তাতেও স্ত্রীরা স্বামীর সংসার করতে চরম বিরক্তি বোধ করেন, তাঁরা বিরক্ত হন স্বামীকে দেহের ভাগ দিতে।
অথচ অফিসে বস চরম অপমান করলে গালাগাল করলেও মহিলাদের কোনো অনুভূতি কাজ করে না। সংসারের কাজ তো একটা একই নিয়মের কাজ।
এগুলো একবার শিখে ফেলার পর কেবল পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই থাকে না। হাড়িতে চাল দিন, মাছ দিন, মাংস দিন, সবজি দিন, মশলা কশান, ঝোলের পানি দিন। বোতাম চাপুন।
লিভার টেনে দিন। স্কেল সঠিকভাবে সেট করুন। ঢাকনা লাগিয়ে দিন। টাইমার চালিয়ে দিন। ব্যাস, একই কাজ বারবার।
আর স্বামীকে দেহদান? কেন নয়? একজন পুরুষ মানুষ যদি আপনার দেহের প্রতি দিনের পর দিন আকৃষ্ট হন, আপনার বয়স অনেক বেড়ে গেলেও, সেটা তো আপনারই সাফল্য? ক্রেডিট, আপনার বিশাল বপু হলেও সে যদি আপনাতেই তৃপ্ত হয়, তবে আপনি কেন তাঁকে বঞ্চিত করবেন?
এটা কি আপনার স্বার্থপরতা নয়? স্বামীর প্রতি ঘৃণা নয়? অথচ দিনের পর দিন আপনি তাঁরই ফ্ল্যাটে সংসার করছেন, তাঁর বিছানা শেয়ার করছেন, তাঁর কেনা শাড়ি-কাপড় পরছেন, টিভি-ফ্রিজ,
এসি ব্যবহার করছেন, তাঁর সাথে দেশে বিদেশে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁর টাকায় কেনা-কাটা করছেন, তার কি কোনোই বিনিময় মূল্য নেই? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :