শর্মি হোসেন : একটা কথা কেউ বলছে না। বাংলাদেশে মেয়েরা যে মোটরসাইকেলের একদিকে দুই পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসেন, তাতে পদার্থবিজ্ঞানের বেসিক সূত্র অনুযায়ীই যেকোনো ছোট দুর্ঘটনাও মর্মান্তিক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়৷ হালকা ধাক্কায় পড়ে যাবার সম্ভাবনা বাড়ে। মাথায় আঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে।
মোটরসাইকেলের মতন দ্রুতগতির একটা যান এরকম বেঞ্চির মতন করে বসার জন্য তৈরি করা হয়নি। এভাবে বসলে পড়ে না যাওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক।
যদি একপাশে পা ঝুলিয়ে বসা নিরাপদই হয়, তাহলে পুরুষরা কোনো অবস্থাতেই এভাবে বসেন না কেন? বিষয়টা কতো আজগুবি, সেটা একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি বরং।
ধরেন এমন একটা সমাজ নির্মাণ করলাম আমরা যেখানে আপনি পুরুষ বলে গাড়ির ভেতরে বসতে পারবেন না, প্রেস্টিজ ইস্যু, আপনাকে ছাদে বসতে হবে। এখন যেহেতু গাড়ি বানানো হয়েছে ভেতরে বসার জন্য, তাই গাড়ি একটু দ্রুতগতিতে চললেই আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু তাতে কার কী? আপনি যেহেতু পুরুষ আপনার ছাদের উপরে পাটি বিছায়েই বসতে হবে। কেমন অদ্ভুত লাগছে না ভাবতে? অথচ দেখেন, আপনার গ্রামের ও শহরের পথে ঘাটে কিন্তু মেয়েদের এরকম মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে মটরসাইকেলে চড়তে দেখতে দেখতে আমাদের চোখ সয়ে গেছে।
মাঝে মাঝে কিছু মৃত্যু আমাদের এরকম ঘোর থেকে ধাক্কা দিয়ে তোলার চেষ্টা করে। আমরা সমস্বরে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বলে আবার ঘুমায়ে পড়ি।
রুবিনা একদিকে পা ঝুলিয়ে বসেছিলেন কিনা জানি না, তবে একটা গুগল সার্চ করলেই দেখবেন মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে অধিকাংশ নারীর মৃত্যু হয় একদিকে পা ঝুলিয়ে বসার কারণে ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে।
অবিলম্বে সারাদেশে যে কারোর জন্য এররকম বিপজ্জকভাবে মোটরসাইকেলে বসা নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :