মারুফ কামাল খান : রাজনীতি হচ্ছে, রক্তপাতহীন যুদ্ধ। আর যুদ্ধ হচ্ছে রক্তপাতময় রাজনীতি। রাজনীতিক নই আমি। কঠিন রোগের চিকিৎসায় এখন দূরদেশে অবস্থান আমার। নিজের এ অনিশ্চিতির মধ্যেও দেশের জন্য প্রাণ কাঁদে। আমার কথা কেউ শুনবেন না জেনেও বিবেকের তাড়নায় ক’টি কথা বলে রাখতে চাই।
রাজনীতি পরাজিত হলে রক্তপাত অনিবার্য হয়ে উঠে। নিজে রাজনীতিক না হলেও আমি রাজনীতির বিজয় চাই। রক্তপাত ও যুদ্ধ চাই না। রক্তপাত ও যুদ্ধ এড়াবার একমাত্র পথ সন্ধি ও সমঝোতা। সেটাই রাজনীতির পথ।
রাজনীতিকে জেতাতে, যুদ্ধ ও রক্তপাত এড়াতে যুধ্যমান দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই। এতে দু’পক্ষই জিতবে, দেশ বাঁচবে। অন্যথায় হারবে দু’পক্ষই। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। লাভ হবে তৃতীয় পক্ষের। আড়ালে বসে কলকাঠি নাড়ছে কেউ।
হঠকারী ও কুচক্রীরা উস্কানি দিচ্ছে। সে উস্কানির ফাঁদে পা দিলে আর নিস্তার নেই। একটা কথা পরিষ্কার, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যারা মসনদে আছেন, তারা ভারী বোঝা হয়ে উঠেছেন। তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পথে।
দেশের মানুষও পরিবর্তনের আকাক্সক্ষায় অধীর। সময় ফুরালে চাইলেও আর টেকা যায় না। তাদের বিদায়টাকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে চাইলে সংঘাত নয়, সমঝোতাই একমাত্র পথ। এক্ষেত্রে দায়টা ক্ষমতাসীনদেরই বেশি।
শুভবুদ্ধি পুরোপুরি বিলুপ্ত না হয়ে থাকলে তাদের উচিত তা অনুধাবন করা। সময় কিন্তু দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। ‘খেলা হবে’ আওয়াজ তুলে আসলে চলছে ড্রামা।
এখন শেষ দৃশ্যটির ঠিক আগের দৃশ্যের অভিনয় শুরু হয়েছে। শেষ দৃশ্যটি যাতে বিয়োগান্তক না-হয়ে মিলনান্তক হয়, তার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অতি দ্রুত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :