জান্নাতুল মাওয়া আইনান: যেসব মা-বাবারা বাচ্চার পড়াশোনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে এদের আমার কিছুটা উন্মাদ মনে হয়। নিজের জীবনের সব না পাওয়া আর আক্ষেপ এরা বাচ্চার জীবনের ওপরে ঢেলে দেয়। আমি মাঝে মাঝে বাস্তববাদী হয়ে টিউশনি পড়াইতে যাইতাম। বাচ্চার মায়েদের বাড়াবাড়ি দেখে আমার এতো বিবমিষা হইতো যে প্রায়ই ভেগে আসতাম। বাচ্চাদের চাপ দিতাম না বেশি, ফলে বাচ্চার মায়েরা খুব নারাজ হইতো। একদিন এক বাচ্চার মা প্রচণ্ড হতাশার সুরে বললো, আইনানÑ রেজাল্ট তো ভালো হয় নাই।
আমি বললাম, কত পাইছে? উনি হাহাকার করে বললেন, ৯৫ পাইছে। ওদের ক্লাসে যারা ফার্স্ট বেঞ্চার তারা সবাই ১০০ তে ১০০ পায়। মনে মনে বললাম, আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুক। বাচ্চাটাকে শান্তি দিক। আমার নির্লিপ্ত চাহনি দেখে তিনি আরো মুষড়ে পড়লেন। এরকম উচ্চাকাক্সক্ষাহীন একজন টিউটরের হাতে বাচ্চা দিয়ে উনি আশ্বস্ত হবেন কীভাবে। অনেকে ক্যালকুলেটর দিয়ে বসে বসে হিসাব করেন। এতো বয়সে এইখানে, এখন থেকে পাঁচ বছর পরে অমুক হবে; সোয়া ছয় বছর পর তমুক হবে। তারপর সেট করে দেবো বাচ্চাটাকে। এই মানুষদের আমি বুঝি না। এত হিসাব কেন করে? কেন দৌড়ায়? দিন শেষে, জীবনের শেষে কী পায় এতো হিসাব করে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :