শওগাত আলী সাগর: বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ-পাচার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বীকার করেছেন। কিন্তু কারা ‘বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার করেছেন’Ñ তাদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে তিনি কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে এই ধরনের ১০০টির মতো এলসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ১০০ এলসি যারা খুলেছিলেন বা খুলতে চেয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে লুটপাট করে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে আমরা অনেক দিন ধরেই কথা বলছি। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এগুলো তো দাবি জানানোর বিষয় না, এগুলো বক্তৃতা করার বিষয় না। এগুলো ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়।
এক লাখ ডলারের মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি মাত্র ২০ হাজার ডলারে যিনি বা যারা আমদানির ঋণপত্র খুলেছেন’, তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? এই ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব কার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, দেশ থেকে যে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, এই বিষয়টা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ভূমিকা রেখেছে, সরকারের অন্যান্য সংস্থার ভূমিকা কী ছিলো, এগুলো আলোচনায় আসা দরকার। লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :