আনু মুহাম্মাদ: প্রায় দুই বছর আগে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে সংহতি জানানোকে অপরাধ হিসেবে উপস্থিত করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের তিনজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছিল। তারা হলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম। আফসোসের বিষয়, উপাচার্যসহ যারা এই কাণ্ড করেছিলেন তারাও শিক্ষক নামে পরিচিত। চাকরিচ্যুত শিক্ষকেরা আদালতে গেছেন, প্রায় দুই বছর নানা প্রক্রিয়ার পর হাইকোর্ট তাঁদের চাকরিচ্যুতিকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এই সময়ে তাঁরা বেতনও পাননি। সবরকম প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে তাঁরা লড়াই করেছেন। আজ আমরা আনন্দিত যে, সেই তিনজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার যোগ দিয়েছেন।
এটা খুবই সাধারণ কথা যে, শিক্ষকদের দায়িত্বই হলো শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানসহ ন্যায্য দাবিদাওয়ার পাশে থাকা, নৈতিক অবস্থান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ সোচ্চার রাখা। ফজল, কাবেরী এবং শাকিলা তাই করেছিলেন। এরকম শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়কে মহা বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারেন। আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে ঘৃণা জানাই সেই তথাকথিত শিক্ষকদের প্রতি যারা এরকম ঘোরতর অপরাধ করেছেন কিংবা তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এ ধরনের লোকজনের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অনিয়মসহ শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড রাজত্ব করছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :