আব্দুল হাই সঞ্জু : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় কাক্সিক্ষত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে সংগঠন ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা মো. আরমিনের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী ব্যক্তিরা তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘তুই নাকি দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ ছাড়তে চাস...।’ সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রে প্রবেশ করলে যেমন বের হওয়া যায় না, তেমন ছাত্রলীগ থেকেও বের হলে চক্রের হামলার শিকার হতে হয়।
নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ দুগ্ধস্নান না করেই ছাত্রলীগ ছেড়ে গিয়েছিলেন। একারণে তাদের ওপর রামদা, চাপাতি, লোহার পাইপ, হকিস্টিক নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন হামলা করেনি। [১] ১৯৭১ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ জাসদ হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। [২] ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির পদে ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম। তিনি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। শেখ শহীদুল ইসলাম পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
[৩] ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি পরবর্তী সময়ে বিএনপিতে যোগ দেন। [৪] মনিরুল হক চৌধুরী সভাপতি থাকাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল আলম প্রধান। বর্তমানে তিনি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সভাপতি।
[৫] ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি হন হাবিবুর রহমান। পরে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। উপরোক্ত উদাহরণগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, ছাত্রলীগ ছেড়ে বিএনপিতে চলে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ছাত্রলীগ ছেড়ে দুঘস্নান করলে অনেক সমস্যা আছে। ঈষৎ সম্পাদিত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :