শওগাত আলী সাগর: ইসলামী ব্যাংক থেকে যে প্রক্রিয়ায় ঋণের নামে অর্থ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে- সেটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। একসাথে এতোগুলো কোম্পানিকে এতো বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াটা হয়তো অস্বাভাবিক ঠেকছে। এর আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে একই প্রক্রিয়ায় হাওয়ার উপর মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার চমৎকার একটি রিপোর্ট করেছিলো ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’। ওই ’মিডিয়া ব্যক্তিত্ব’কে নিয়ে দুদক দু'একদিন দৌড়াদৌড়ি করেছিলো, তার বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিলো। কিন্তু তার পর! তিনি বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠনের নেতা হয়েছেন।
ইসলামী ব্যাংকের ‘ভয়ংকর নভেম্বরের’- বেনিফিসিয়ারিরা সামনে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আসীন হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজকাল সবসময়ই কেবল ‘খেলতে’ চান। যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়ও তিনি বলেছেন, ‘খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে।’ তিনি অনেকের সাথেই ‘খেলতে’ চান। কিন্তু এইসব ব্যাংক খেকোদের বিরুদ্ধে তিনি কেন ‘খেলতে’ চান না। এই সব ব্যাংক খেকোদের বিরুদ্ধে সরকার কেন ‘খেলতে’ চায় না! লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :