আমিনুল ইসলাম: ডেন্টাল কলেজে পড়ুয়া এক মেয়ে বেড়াতে যাওয়ার টাকার জন্য তার আপন নানাকে হত্যা করেছে। পত্রিকায় পড়লাম এই খবর। এই মেয়ে জানত তার নানার কাছে টাকা আছে। তাই সে আর তার ভাই এবং অন্য বন্ধুরা মিলে নানাকে হত্যা করেছে। প্ল্যান অনুযায়ী যেদিন বাসায় কেউ ছিল না, সেইদিন এই মেয়ে তার বন্ধুদের ওই বাসায় পাঠায়। যাতে তার নানা মনে করে ডাকাত এসছে। এরপর সবাই মিলে নানাকে হত্যা করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর বাসায় তার বাবা-মা এসে দেখে ভদ্রলোক মারা গিয়েছেন। এরপর মামলা হয়। কারণ তারা তো আর জানতেন না কে বা কারা হত্যা করেছে। এই পর্যন্ত হলে তাও হতো।
এরপরের ঘটনা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। যখনই বাবা-মা বুঝতে পেরেছে যে তাদের ছেলে-মেয়েরাই প্ল্যান করে এই হত্যা করেছে, তখন এই বাবা-মা তাদের সন্তানকে আড়াল করতে চেয়েছে। চিন্তা করতে পারেন? অথচ এই সন্তানরা কিন্তু তাদের মায়ের আপন বাবাকে হত্যা করেছে। এরপরও এরা কিনা সন্তানদের আড়াল করতে চাইছে। আমাদের সমাজটা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে চিন্তা করুন। মেডিকেলে পড়া ছাত্রী বেড়ানোর জন্য নিজের নানাকে হত্যা করেছে। এরপর তাদের বাবা-মা মিলে এই ঘটনা এখন আড়াল করতে চাইছে। এরা বুঝতে পারছে না- এই সন্তান একদিন তাদেরও হত্যা করতে পারে। আরও বেশি বেশি করে সন্তানদের জিপিএ ফাইভ, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানাতে থাকুন। মানুষ বানানোর দরকার নেই। লেখক: সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :