ফরিদ আহমেদ: ফুটবল খেলা আমার খুব প্রিয় একটা খেলা। বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই গভীর মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখি। এতো মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখলেও বিশ্বকাপে আমার একক প্রিয় কোনো দল নেই। বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্বকাপে খেলে না, কাজেই একক প্রিয় দল থাকার কথাও না। এমনকি এবার ক্যানাডা বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে, তারপরেও এটা আমার একক পছন্দের দল নয়। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, জন্মভূমি ছাড়া আর কোনো দেশের প্রতি অন্ধ ভালবাসা জন্মায় না (ইন-বিল্ট ভালবাসা এটা)। আর কোনো দেশ জিতলে অমন উল্লাস আসে না, অন্য কোনো দেশ হারলে অমন করে মনটা চুপসে যায় না। বিশ্বকাপে কোনো একক দলের সমর্থন না করলেও, দুটো খুবই অপ্রিয় দল আছে আমার। একটা হচ্ছে আর্জেন্টিনা আর অন্যটা হচ্ছে ব্রাজিল। এই দুই দেশের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। তারপরেও এ দুটো আমার অপছন্দের দল। এর পিছনে দায়ি হচ্ছে এদের বাংলাদেশি সমর্থকরা। এই দুই দলের বাংলাদেশি সমর্থকরা ফুটবল খেলার সমর্থনকে অশ্লীল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। এরা তাদের পছন্দের আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিল জিতলে যে ধরনের উল্লাস করে, সেটা দক্ষিণ আমেরিকায় থাকা আসল আর্জেন্টাইন এবং ব্রাজিলিয়ানরাও করে না। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, কোনো দিন শুনবেন না যে কোনো আর্জেন্টাইন বা ব্রাজিলিয়ান ঘর, বাড়ি, ভিটে-মাটি বিক্রি করে নিজেদের দেশের দশ মাইল লম্বা পতাকা বানাবে। বাংলাদেশের গুলো এটা বানায়।
শুধু পতাকা বানায় না, গরু জবাই থেকে শুরু করে অদ্ভূত অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড করে তারা। মারামারি, কাটাকাটি, খুনোখুনিও এর অন্তভুক্ত। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি’, আর্জেন্টাইন এবং ব্রাজিল সমর্থকদের দেখলে নতুন এক বাগধারার কথা মনে হয় আমার। সেটা হচ্ছে, ‘মায়ের চেয়ে মাসির প্রতি দরদ বেশি’। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ যেমন সন্দেহপূর্ণ, তেমনি মাসিকে বেশি বেশি ভালবাসাটাও অস্বাভাবিক একটা কর্মকাণ্ড। এ কারণে, ফুটবল বিশ্বকাপে কোনো দল জেতার চেয়ে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল হারলেই আমি উল্লাসমুখর হয়ে উঠি। এদের বাংলাদেশি সমর্থকরা তখন যে মড়া বাড়ির শোক করে, সেই শোকটাই উল্লাসে জ্বালানি ঢালে আমার। আজকে ঘুম থেকে উঠেই আনন্দময় এক সংবাদ পেলাম। সৌদি আরব সিধে করে দিয়েছে বাংলাদেশি-আর্জেন্টাইনদের। সার্বিয়াও সর্বহারা করে দিক ব্রাজিলকে, সেই কামনা রইলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :