বাতেন মোহাম্মদ: আর্জেন্টনার ৬৯ শতাংশ বল পজিশান, ১৫টা শট আর ৯টা কর্ণারের বিপরীতে সৌদি আরবের মাত্র ৩টা শট। আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের ম্যাচ স্টাটিসটিকালি একপেশে। কিন্তু স্কোর লাইন ২-১। এর অর্থ ব্যক্তিগত নৈপূণ্যে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের খেলোয়াড়দের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও ট্যাকটিকালি হেরে গেছে। ১৫টা শটের মধ্যে ১০টা অফসাইড এবং এর মধ্যে ৩টা গোল অফসাইডের কারণে বাতিল এটা দেখলেই বুঝা যায় স্কোলানি ট্যাকটিকালি কোথায় পিছিয়ে আছে। সৌদি আরব ফুটবল বোদ্ধাদের চমকে দিয়েছে হাই লাইন ডিফেন্স ও পজেশন ফুটবল খেলে। আর্জেন্টিনা খেলা শুরু করেছে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। সেখানে সৌদি আরব ৫-৪-১ ফর্মেশনে। আর্জেন্টিনার এটাকিং মিডের বিপরীতে সৌদি আরব ডিফেন্সিভ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত স্কোলানি প্রথম ১০ মিনিট পর যখন দেখলো সৌদি আরব ফর্মেশন পরিবর্তন করে ক্লাসিকাল ৪-৪-২ কিংবা কখনো ৪-৫-১ এ মুভ করছে তখনো কেনো সে মেসি নির্ভর ক্লোস স্পেসে খেলে গেল এটা আসলেই আশ্চর্য্য জনক। হাই লাইন ডিফেন্সে অফসাইড ট্রাপ তৈরি হয়। তাই তখন দরকার গতিবান উইংগার এবং বাই লাইন ক্রস।
এখানে আর্জেন্টিনা দুর্বল সেটা আমি দল ঘোষণার সময়েই বলেছিলাম। কারণ ডি মারিয়ার গতি আগের মতো নেই। আর অন্য উইংয়ে গোমেজেরও গতি নেই। তার উপর বাই লাইন ক্রস কাজে লাগানোর মতো ভালো হেড করতে পারে এমন স্ট্রাইকার লওতারো নয়। অতিরিক্ত মেসি নির্ভরতাকে টার্গেট করেছিলো সৌদি আরব। তারা জানতো এটাকিং থার্ডে মেসিকে স্পেস না দিলে বাকি
খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নেই স্পেস ক্রিয়েট করে স্কোর করবে। তাদের স্ট্রাটেজি কাজ করেছে। সাথে গোলকিপারের দৃঢ়তা। তবে সৌদি আরবের সালেহ আল শেহরি ও সালেম আর ডাউসারিকে কৃতিত্ব না দিলে অন্যায্য হবে। বিশেষ করে ডাউসারী যেভাবে একবার নিচে নেমে ডিফেন্স করে আবার দ্রুত ট্রাঞ্জিশনে উপরে উঠে আক্রমণ করেছে সেটা দেখার মতো ছিলো। আর তার গোলটা স্বপ্নের মতো সুন্দর। এই খেলায় সৌদি আরবের জয়কে আমি অঘটন বলতে রাজি নই। এটা ট্যাকটিকাল উইন। আর এখানে ফ্রেঞ্চ কোচ হার্ভে রেনাডের ট্যাক্টিক্সের কাছে আর্জেন্টিনার কোচ স্কোলানির হার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :